প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ৭:১৮ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ১, ২০২৪, ৬:৫৫ অপরাহ্ণ
লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃলালমনিরহাটে বন্যার পানি ২৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
লালমনিরহাটের আদিতমারী ও হাতীবান্ধা উপজেলায় ৪টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট সদর উপজেলায় ৩টি ও আদিতমারী উপজেলায় ১টি সম্প্রতি বন্যায় পানি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ঢুকে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়াও লালমনিরহাট সদর উপজেলায় ১২টি, আদিতমারী উপজেলায় ৮টি ও হাতীবান্ধা উপজেলায় ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সম্প্রতি বন্যায় পানি ঢুকে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) থেকে এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে লালমনিরহাট জেলা শিক্ষা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ওই আদেশ জারি করে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষ।
রোববার থেকে পাঠদান বন্ধ থাকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো হলো, লালমনিরহাট সদর উপজেলার কালমাটি বি এল উচ্চ বিদ্যালয়, কালমাটি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, খোলাহাটি উচ্চ বিদ্যালয় ও আদিতমারী উপজেলার গোবর্দ্ধন হায়দারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়।
পাঠদান বন্ধ থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো হলো, লালমনিরহাট সদর উপজেলার কালমাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধুরাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হরিণচড়া আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,
১নং হরিণচড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর গোকুন্ডা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২নং হরিণচড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হরিণচড়া কুটিপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রতিপুর মন্ডলপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিস্তা কে আর খাদেম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিস্তা মাদ্রাসা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাংড়া আবাসন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাজী জফুর উদ্দিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়াও
কালমাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টিকে আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।
আদিতমারী উপজেলার গোবর্দ্ধন প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাহাদুরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোবর্দ্ধন ইসমাইলপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোবর্দ্ধন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আদর্শপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোবর্দ্ধনহাট ইসমাইলপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মর্নিয়ারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বারঘড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
হাতীবান্ধা উপজেলার পশ্চিম হলদীবাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে সোমবার রাত থেকে কিছু কিছু বিদ্যালয় থেকে পানি নেমে যেতে শুরু করেছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার রায় জানান, বন্যার কারণে জেলায় ২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এসব এলাকায় পানি নেমে গেলে পুনরায় পাঠদান চালু হবে।
লালমনিরহাট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মজিবুর রহমান জানান, গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বন্যা দেখা দেয়। জেলার ৪টি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে। তবে পানি নেমে গেলে পাঠদান শুরু করা হবে।
১ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেল ৩ টায় লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোড জানান,তিস্তা নদীঃ
১। ডালিয়া পয়েন্ট -
পানির সমতল ৫১.৫৫ মিটার
(বিপদসীমা = ৫২.১৫ মিটার) যা বিপদসীমার ৬০ সে.মি নীচে ।
২। কাউনিয়া পয়েন্ট -
পানির সমতল ২৮.৮৮ মিটার
(বিপদসীমা = ২৯.৩১ মিটার)
যা বিপদসীমার ৪৩ সে.মি নিচে ।
ধরলা নদীঃ
১। শিমুলবাড়ি পয়েন্ট -
পানি সমতল ২৯. ৪৮ মিটার,
(বিপদসীমা = ৩০.৮৭ মিটার)
যা বিপদসীমার ১৩৯ সে.মি নিচে। লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ খায়রুজ্জামান বাদল জানান, বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া বাড়ি -ঘর থেকে পানি নেমে যাচ্ছে।