মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক :
এদিকে পরীমণি, শেখ সাদী একে অন্যকে বন্ধু হিসেবে হিসেবে সম্বোধন করেছেন। তবে নেটাগরিকরা তা মানতে নারাজ। গতকাল তাদের একসঙ্গে দেখার পর থেকে অনেকের ধারণা প্রেমের সম্পর্কে আছেন পরীমণি-শেখ সাদী।
পরীমণির সঙ্গে বন্ধুত্ব নাকি প্রেম— জানতে চাইলে আগ্রহ দেখালেন না সাদী। শুধু বললেন, ‘সবাই যেরকম ভাবছেন সেরকম কিছু না। আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বের বাইরে কোনো সম্পর্ক নেই। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইছি না।’
কীভাবে বন্ধুত্ব পরীমণির সঙ্গে জবাবে— শেখ সাদী জানান, কাজের সূত্রে পরিচয়। এরপর বন্ধুত্ব। তার কথায়, ‘আমার একটি গানের ব্যাপারে ওনার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। এরপর থেকে বন্ধুত্ব আমাদের।’
গতকাল মঙ্গলবার আদালত প্রাঙ্গনে পরীমণির সার্বক্ষণিক সঙ্গী হিসেবে দেখা যায় এক তরুণকে। অভিনেত্রীর জামিনদারও হন তিনি। ফলে নেটিজেনদের প্রশ্ন, পরীমণির সঙ্গে কে এই যুবক?
আদালতে পরীমণির ছায়াসঙ্গী ওই যুবকের নাম শেখ সাদী। তিনি একজন সংগীতশিল্পী। বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় গান রয়েছে তার। এরমধ্যে কয়েকটি কোটি ভিউ অতিক্রম করেছে ইউটিউবে।
গতকাল মঙ্গলবার শেখ সাদীকে নিয়ে পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত বলেন, আদালতে পরীমণি আসতে না পারায় আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে পরীমণিকে খবরটি জানান।
এরপর পরীমণি সিদ্ধান্ত নেন, সোমবার তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইবেন। ওইদিন তিনি আদালত থেকে জামিনও পেয়ে যান।
নীলাঞ্জনা রিফাত বলেন, আদালতের জামিন আদেশের পর পরীমণির জামিননামা লেখা হয়। আমি জামিনদার হয়েছি। আরেকজন জামিনদার হয়েছেন শেখ সাদী। জামিননামাটি আদালতে জমাও দিয়েছি।
পরীমণির জামিনদার হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেখ সাদী বলেন, পরীমণি আমার সহকর্মী। যখন তিনি গণমাধ্যমে পরীমণির গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির খবর শুনলেন, তখন বেশ দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। তখন পরীমণির সঙ্গে কথা হয়। তিনি আমাকে জানিয়েছিলেন, আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন। এ জন্য আমিও আদালতে আসি। জামিন হওয়ার পর তার আইনজীবী একজন জামিনদার হন। আমিও আরেকজন জামিনদার হলাম।
শেখ সাদী জানান, একই অঙ্গনে দীর্ঘদিন কাজ করার কারণে পরীমণির সঙ্গে বেশ আগেই পরিচয় হয়েছিল। তখন থেকে পেশাগত বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে নিয়মিত কথাবার্তা হয়।
শেখ সাদীর জামিনদার হওয়া প্রসঙ্গে চিত্রনায়িকা পরীমণি বলেন, হঠাৎ করে আমি ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম বলে গতকাল আদালতে যেতে পারিনি। যখন শুনলাম, আমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। খবরটি যখন গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে, তখন আমার শুভাকাঙ্ক্ষী ও শুভানুধ্যায়ীরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
এমন পরিস্থিতিতে আমার বন্ধুবান্ধবরা আমাকে সাহস জুগিয়েছে। শেখ সাদীও আমার সহকর্মী। তার সঙ্গেও গতকাল কথা হয়। আদালতে শুনানির সময় সে ছিল। জামিন পাওয়ার পর আইনজীবী জামিনদারের পাশাপাশি স্থানীয় একজন জামিনদারের প্রয়োজন হয়। শেখ সাদী তখন জামিননামায় স্বাক্ষর করেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক
মোস্তাকিম সরকার
অফিস: বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটি আদাবর, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭
বিজ্ঞাপন: ০১৭১৬-৬৪০০৬৯, বার্তা কক্ষঃ ০১৭৩১২৪৪৭৬০
Email: editormuktinews24@gmail.com, info@muktinews24.com
© 2023 মুক্তিনিউজ২৪. All rights reserved