ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গাইবান্ধার ৭ উপজেলায় ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৭৭টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে গরু, ছাগল ও ভেড়া রয়েছে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এ জেলায় কোরবানির চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৭০টি পশু।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কৃষক ও খামারিদের এসব পশু স্থানীয়ভাবে লক্ষীপুর, দাড়িয়াপুর, সাদুল্লাপুর, ধাপেরহাট ও মাঠেরহাটসহ অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিক্রির ব্যবস্থা রয়েছে। এসব স্থানে কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে বলদ, ষাঁড়, মহিষ, গাভী, ছাগল ও ভেড়া কেনা-বেচা হবে। অনেকে সরাসরি খামার বা কৃষকের বাড়িতে গিয়েও কিনতে পারবেন। তবে খামারিদের অভিযোগ, গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। পশুকে অতিরিক্ত দামে খাদ্য খাওয়ায়ে ভালো দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা।
আব্দুস ছাত্তার মন্ডল বলেন, প্রায় এক যুগ ধরে সামর্থ অনুযায়ী এককভাবে কোরবানি দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু এ বছর তা ব্যতয় ঘটবে। কারণ, সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় সংসারে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেড়েছে। এজন্য এবার ঈদে যৌথভাবে কোরবানি দিতে হবে।
খামার মালিক জাহিদ হাসান জানান, কোরবানি উপলক্ষে বিদেশি জাতের ৮টি গরু বিক্রির জন্য রাখছেন। গেল দুই বছর আগে করোনা পরিস্থিতে এ ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তিনি। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। কিন্তু সম্প্রতি গো-খাদ্যের দামবৃদ্ধির ফলে কোরবানির গরুর ন্যায্য দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি।
গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান সরকার জানান, কৃষক-খামারিরা যাতে করে ভালো দাম পায়, সে ব্যাপারে তাদের প্রণোদনা দেওয়াসহ অন্যান্যভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এতে করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখনো কোরবানি পশুর হাট তেমনটা জমেনি। বিক্রয়যোগ্য হাটগুলোতে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেডিকেল দল থাকবে। আশা করছি, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও দেশের বিভিন্ন জায়গা কোরবানি পশুর চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিক রাখবে।