ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধাঃ দেশজুড়ে বইছে তীব্র দাবদাহ। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। সামান্য প্রশান্তির খোঁজে গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর মানুষ ছুটছেন ভ্রাম্যমাণ শরবতের
দোকানে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব দোকানে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। সরেজমিনে দেখা যায়,পলাশবাড়ী শহরের পিয়ারী বিদ্যালয়ের সামনে, ডিসি অফিস, কালিবাড়ী বাজার, ট্রাফিক মোড়, বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ শরবতের দোকান বসেছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এসব দোকানে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শরবত। উপজেলায় বেশকিছু ভাসমান শরবতের দোকান রয়েছে।শরবত বিক্রেতারা জানান, মানুষের তৃষ্ণা মেটাতে চিনি, লেবু, তোকমা, ইসবগুলের ভুসি, শাহিদানা, অ্যালোভেরা ও উলটকমল দিয়ে শরবত তৈরি করা হয়। এসব শরবতের অনেক চাহিদা রয়েছে। তীব্র গরমে এ শরবতের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। প্রত্যেক শরবতওয়ালা দিনে প্রায় ১৫০-২০০ গ্লাস শরবত বিক্রি করেন।পলাশবাড়ী সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাজিব বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ভ্যাপসা গরম ও লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ। ক্লাসে মনোযোগ দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তাই কলেজ শেষে লেবুর শরবত খেয়ে তৃষ্ণা মেটাচ্ছি। শরবত খেতে আসা রিকশাচালক আনারুল বলেন, সারাদিন রিকশা চালাই। শরীরকে ভালো রাখার জন্য ফলের শরবতের ওপর কিছু আছে বলে মনে করি না। তাই যখনই ক্লান্ত হই, তখনেই ফুটপাতের এসব দোকানে এসে শরবত পান করি।পিয়ারী বিদ্যালয়ের জান্নাত নামের এক শিক্ষার্থী জানায়, স্কুল ছুটি হলেই লেবুর শরবত পান করি। তীব্র গরমে লেবুর শরবত শরীরে অন্যরকম আমেজ নিয়ে আসে। এক গ্লাস পান করলেই প্রশান্তি পাই।পলাশবাড়ীর ঘোল বিক্রেতা সুনীল ঘোষ বলেন,তীব্র গরমে ঘোলের চাহিদা অনেক বেড়েছে। তবে শীতকালে কমে যাবে। প্রতিদিন ৯০-১৩০ গ্লাস ঘোল বিক্রি হয়। রিকশাচালক, শ্রমিক ও পথচারীরা বেশি ঘোল পান করেন। প্রতি গ্লাস ঘোল ১০ টাকায় বিক্রি করছি। এতে পরিবারের লোকজন নিয়ে ভালোই আছি।
এদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে উত্তরের এ উপজেলায় কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। প্রতিদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে দিনের তাপমাত্রা। শনিবার দুপুরে জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রকাশক ও সম্পাদক
মোস্তাকিম সরকার
অফিস: বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটি আদাবর, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭
বিজ্ঞাপন: ০১৭১৬-৬৪০০৬৯, বার্তা কক্ষঃ ০১৭৩১২৪৪৭৬০
Email: editormuktinews24@gmail.com, info@muktinews24.com
© 2023 মুক্তিনিউজ২৪. All rights reserved