পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধিঃ ঈদ উল আজহাকে কেন্দ্র করে পীরগঞ্জে চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। শেষ মুহূর্তে পশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার খামারিরা। তবে পশু লালন-পালনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় দাম নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, উপজেলায় কোরবানির জন্য ৫৩ হাজার ৩১২টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। তবে উপজেলায় চাহিদা রয়েছে ৪৩ হাজার ২০১টি পশু। এরমধ্যে গরু ২৭ হাজার ২ শত ৮২, ছাগল ২৩ হাজার ৩ শত ২ টি, ভেড়া ২ হাজার ৭ শত ৩ টি ও মহিষ ২৫ টি রয়েছে। অতিরিক্ত ১২ হাজার ১১৯টি পশু দেশের অন্য উপজেলা, জেলার চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ছোট-বড় বিভিন্ন খামারে পালন করা হচ্ছে কোরবানির পশু। স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাটের পাশাপাশি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কোরবানির পশু বিক্রি হচ্ছে। সরাসরি খামার বা কৃষকের বাড়িতে গিয়েও কিনছেন অনেকে। পশু কোরবানি দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া রাশেদ মন্ডল বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে এককভাবে কোরবানি দিয়ে আসছি। তবে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় সংসারে আয়ের তুলনায় ব্যয় বেড়েছে। এজন্য এবার ঈদে যৌথভাবে কোরবানি দিতে হবে।’ উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের জাফরপাড়ার খামার মালিক জায়দুল বলেন, ‘আসন্ন কোরবানিতে আমার খামারে ৬টি দেশি গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। দুই বছর আগে করোনা পরিস্থিতে এ ব্যবসায় তিগ্রস্থ হয়েছি। সেই তি পুষিয়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করছি। তবে গো-খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে কোরবানির গরুর ন্যায্য দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, কৃষক-খামারিরা যাতে ভালো দাম পান সেজন্য তাদের প্রণোদনা দেওয়াসহ অন্যান্যভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, কোরবানি পশুর হাটগুলো জমতে শুরু করেছে। হাটগুলোতে পশুর স্বাস্থ্য পরীার জন্য মেডিকেল দল রয়েছে। আশা করছি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও দেশের বিভিন্ন জায়গায় চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে এখানকার পশু।
প্রকাশক ও সম্পাদক
মোস্তাকিম সরকার
অফিস: বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটি আদাবর, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭
বিজ্ঞাপন: ০১৭১৬-৬৪০০৬৯, বার্তা কক্ষঃ ০১৭৩১২৪৪৭৬০
Email: editormuktinews24@gmail.com, info@muktinews24.com
© 2023 মুক্তিনিউজ২৪. All rights reserved