বড়লেখায় জাহিদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গেপ্তার
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের রড়লেখায় পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে জাহিদ আহম নামের এক যুবক খুনের প্রধান আসামি রুবেল আহমদকে গ্রেপ্তার করেছে বড়লেখা থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারের পরে আসামিকে মৌলভীবাজার জেলা বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হলে ১৬৪ ধারায় আদালতে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকারোক্তি দেয় আসামি রুবেল আহমদ।
বড়লেখা থানা সুত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার বড়লেখা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলা থেকে জাহিদ হতাকান্ডের পলাতক আসামি রুবেল আহমদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইয়ারদৌস হাসান জানান, রোববার সকালে আসামিকে থানার মামলা নং- ২, তারিখ ০৯/১০/২০২৩ খ্রি. ধারা- ১৪৩/৩৪১/৩০২/৩৪ পেনাল কোড) মামলার প্রধান আসামি রুবেল আহমদকে আদালতে প্রেরণ করা হলে বিজ্ঞ আদালতে কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয়।
এজাহার সুত্রে জানা যায়, পাওনা টাকার বিষয়কে কেন্দ্র করে গত ৭ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গ্রেপ্তারকৃত রুবেল আহমদসহ সঙ্গীয় আসামিরা বড়লেখার ঘোলসা লেবেন্দু বাজারস্থ অন্য আসামি ছামাদের দোকানে ভিকটিম জাহিদ আহমদকে নাকে মুখে কিল ঘুষি মেওে মাতে থাকে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এরপর জাহিদ আহমদ বাজার করে বাড়িতে ফেরার পথে রাত ৮টায় যখন ঘোলসা রেলওয়ে মসজিদ এলাকায় আসলে আসামি রুবেলসহ অন্য আসামিরা হাতে দা, লোহার রড, বাঁশের লাঠি ইত্যাদিসহ ভিকটিম জাহিদ আহমদকে এলোপাথাড়িভাবে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।
গুরুতর আহত জাহিদ আহমদকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বড়লেখা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার জাহিদ আহমদ এর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়। পরদিন ৮ অক্টোবর সকালে জাহিদ আহমদের অবস্থার অবনতি হলে পূনরায় তাকে বড়লেখা হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনরা। ডাক্তার জাহিদ আহমদকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
ভিকটিম জাহিদ আহমদকে চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে গত ৮ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৩টায় মারা যায়। এ ঘটনায় পরদিন ৯ অক্টোবর নিহত জাহিদ আহমদের বাবা বাদী হয়ে রুবেল আহমদকে প্রধান আসামি করে আরও ৮জনের বিরুদ্ধে বড়লেখা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।