বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

ক্ষুদে ফুটবলারে মুখরিত বাফুফে টার্ফ

ক্ষুদে ফুটবলারে মুখরিত বাফুফে টার্ফ

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : সবার চোখে মুখেই উচ্ছ্বাস। বল পেয়ে ছুটছেন দ্বিগবিদিক। পাশে দাড়িয়ে থাকা অভিভাবক-কোচদের বারণ কেউ শুনছেন, কেউ আবার কর্ণপাতও করছেন না। বাফুফে একাডেমীর প্রথম দিনটি ক্ষুদে বালকদের এভাবেই কেটেছে।

৮-১০ ও ১১-১৪ দুই বয়সভিত্তিক পর্যায়ে ৪০ জন করে ক্ষুদে ফুটবলার ভর্তি করেছে বাফুফে। অনাবাসিক ভিত্তিতে সপ্তাহে তিন দিন (বৃহস্পতিবার বিকেল ও শুক্র-শনি সকালে ) অনুশীলন করবে ক্ষুদে ফুটবলানুরাগীরা। বাফুফের নতুন এই একাডেমীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে আজ। আজ উদ্বোধনী দিনে উপস্থিত ছিলেন একাডেমীর দূত এবং বিশিষ্ট নাট্যাভিনেতা জাহিদ হাসান। তিনি বাফুফের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, ‘বাফুফের এমন উদ্যোগটি দারুণ আমাকে সম্পৃক্ত করায় খুবই কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে আজ যারা এখানে উপস্থিত হয়েছে সেই সকল অভিভাবকদের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’ অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রায় সকল অভিভাবকরা বাচ্চাদের চাপ দেন ক্লাসে ফার্স্ট হতে হবে। মেসি, রোনালদোরা ক্লাসে ফার্স্ট হয়নি কিন্তু তারা বিশ্বের সেরা। বাংলাদেশের সাকিব আল হাসানও ক্লাসে ফার্স্ট হয়নি এমনকি আমি জাতীয় পর্যায়ে নানা পুরস্কার পেয়েছি আমিও কিন্তু ক্লাসে ফার্স্ট হয়নি। আমি মন খুলে দোয়া করি আজ যারা এখানে এসেছে তারা সবাই একদিন জাতীয় দলে খেলবে।’ বাফুফের অনাবাসিক একাডেমীর স্বপ্নদ্রষ্টা ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূইয়া মানিক। আজ একাডেমী উদ্বোধন করে অনেকটাই তৃপ্ত তিনি, ‘ছেলেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এখানে এসেছে। তারা ফুটবল শিখতে চায় আমরা তাদের সুযোগ করে দিতে পেরেছি এটাই আমাদের ভালো লাগা। এটা মূলত শরীর ও মন ভালো রাখার জন্য ফুটবল প্রোগ্রাম এরপরও এখান থেকে ভালো মেধাবী খেলোয়াড় থাকলে আমাদের এলিট একাডেমীতে ট্রায়ালের সুযোগ পাবে।’ দেশের অন্যতম শীর্ষ কোচ মারুফুল হক ডেভলপমেন্ট কমিটির সদস্য। কমিটির সদস্য হিসেবে এই একাডেমীর তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে রয়েছেন। তৃণমূলে বাচ্চাদের শেখানোর কারিকুলাম কোচদের তিনি ইতোমধ্যে ব্রিফ করেছেন। মাঝে মধ্যে নিজেও সশরীরে হাজির হবেন। জাতীয় দলের ফলাফল ব্যর্থতা ও প্রশাসনিক নানা কারণে বাফুফে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনায় থাকে সব সময়। বাচ্চাদের ফুটবল শেখানোর এমন উদ্যোগকে অবশ্য সাধুবাদ জানিয়েছে এক যোগে সকল অভিভাবকই। আজ প্রথম দিন বাচ্চাদের নিয়ে আসা কয়েকজন অভিভাবক এক সুরেই বললেন, ‘ছেলে ফুটবল পছন্দ করে আর বাফুফে যখন এমন কর্মসূচি নিয়েছি তাই আমরা আস্থা পেয়েই এসেছি।’ অভিভাবকদের মতো অনেক শিশুর স্বপ্ন একদিন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ানোর।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন