শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

কুলাউড়ায় পুত্রবধুকে নির্যাতনকারী সেই শশুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

কুলাউড়ায় পুত্রবধুকে নির্যাতনকারী সেই শশুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় শশুর কতৃক পুত্রবধুকে নির্যাতনকারী ঘটনা ফেজবুকে প্রকাম হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে নির্জাতনকারী মুল হোতা শশুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে পুত্রবধুকে তার শশুর মারপিট ও অশ্লীল গালি-গালাজ করে টেনে হিছড়ে বাড়ির থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা সামাজিক ফেজবুকে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় গৃহবধুর বড়ভাই বাবুল মিয়া কুলাউড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে কুলাউড়া থানা পুলিশ পুত্রবধুর নির্যাতনকারী শশুর শফিক মিয়া (৬৩) ও গৃহবধুর স্বামী আব্দুস সালাম (৩২),কে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, ৪ বছর আগে উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে আব্দুস সালামের কাছে নিরর্যাতিতা গৃহবধু রুজিনার বিয়ে হয়। রোজিনা ও আব্দুস সালামের ১ বছরের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকে রোজিনার পরিবারকে যৌতুক এর জন্য চাপ দিচ্ছিল শশুর বাড়ির লোকজন। কিন্তু রোজিনার সংসারে আর্থিক টানাপড়েন থাকায় শশুর বাড়ির চাহিদা পূরণ করতে পারছিলনা। এদিকে যৌতুকের অর্থ না পেয়ে গৃহবধু রোজিনার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাতো শশুর ও স্বামী।
গৃহবধুর ভাই বাবুল মিয়া জানান, গত ১৬ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টারদিকে সুলতানপুরস্থ বোনের শশুর বাড়িতে ইফতারের শরবতের প্যাকেট কাটা-কে কেন্দ্র করে রোজিনাকে তার স্বামী আব্দুস সালাম ও তার দেবর রুমান মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রুজিনাকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন এলোপাতাড়ি মারধর করে। এর পরদিন সতাল সাড়ে ৬টারদিকে
রোজিনার শ্বশুর বাড়ির লোকজন বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক বাবদ এক লক্ষ টাকা এনে দিতে চাপ দেয়। রোজিনা যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন আবার তাকে এলাপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। মার খেয়ে রোজিনা প্রাণ বাঁচাতে প্রতিবেশি জোৎস্না বেগমের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে রোজিনার শশুর শফিক মিয়া রোজিনাকে চুলের মুটি ধরে টেনে হিচড়ে এবং মারধর করে বাড়িতে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে রোজিনার ভাই ও স্বজন রোজিনাকে উদ্ধার করতে আসলে তাদেরও গালিগালাজ করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় রোজিনার শশুর বাড়ির লোকজন। পরবর্তীতে কুলাউড়া থানার এসআই (নিরস্ত্র) হারুনুর রশিদ সহ পুলিশের একটি টিম গিয়ে গৃহবধু রোজিনাকে উদ্ধার করে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্্ের ভর্তি করে। এরপর ১৭ এপ্রিল কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আব্দুছ ছালেকের সার্বিক নির্দেশনায় কুলাউড়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সুলতানপুর থেকে গৃবধুর স্বামী আব্দুস সালামকে গ্রেপ্তার করে মৌলভীবাজার বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে। এরপর পুলিশ গোপন সুত্রে খবর পেয়ে এ ঘটনার মূল হোতা রোজিনার শ্বশুর মো: শফিক মিয়াকে মৌলভীবাজার জেলার একাটুনা ইউনিয়নের তার মেয়ে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এসব তথ্য মঙ্গলার ১৮ এপ্রিল বিকেলে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়।

 

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন