শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

”৪০ টাকার ডাব হাত বদলেই দাম কয়েক গুণ“

”৪০ টাকার ডাব হাত বদলেই দাম কয়েক গুণ“

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক :  তীব্র গরম আর ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় উপকূলীয় জেলা ভোলার ডাবের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ সুযোগে মধ্যস্বত্বভোগী ও অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটে খুচরা বাজারে কয়েক গুণ বেড়েছে পণ্যটির দাম। বাগান থেকে প্রতিটি ডাব ৪০-৫৫ টাকায় কেনা হলেও ফরিয়া ও আড়তদারদের হাত ঘুরে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। রাজধানীসহ বেশ কয়েকটি জেলার ডাবের চাহিদা মেটায় উপকূলীয় জেলা ভোলার ডাব। এ কারণে ভোলায় দিন দিন বাড়ছে বাণিজ্যিক ডাব চাষ।

বাগান থেকে মান ও আকার বেধে প্রান্তিক কৃষক বা গৃহস্থ প্রতিটি ডাব বিক্রি করছে ৪০ থেকে ৫৫ টাকা করে। এই দাম পেতে আবার অপেক্ষা করতে হয় পাইকারদের মর্জির উপর। বাজারে ডাবের ব্যাপক চাহিদা থাকার পরেও নায্য মূল্য না পাওয়ার অভিযোগ করেছে চাষিরা।বাগান থেকে নামানো ডাব প্রথমে নেয়া হয় স্থানীয় বাজারে। সেখান গিয়ে প্রতি পিচ ডাবের দাম বেড়ে যায় ১৫ থেকে ২০ টাকা। এই অর্থের বেশির ভাগই যাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীর পকেটে। যদিও শ্রমিক ও পরিবহনের খরচের কথা বলছেন তারা। একই সঙ্গে এই ডাব ঢাকায় গিয়ে আড়তদারদের হাত ঘুরে খচুরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়। ক্রেতারা বলছেন, ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপে ডাবের চাহিদা বৃদ্ধি এবং ফলন কমের অজুহাতে উচ্চমূল্যের অতীত রেকর্ড ভেঙেছে ডাবের দাম। স্থানীয় প্রান্তিত কৃষক বা গৃহস্থ কাছ থেকে কেনা ডাব হাত বদলে দাম বেড়ে যাচ্ছে কয়েক গুণ। এতে করে ডাব কিনতে গিয়ে হিমশিম অবস্থায় সাধারণ মানুষ। তাদের দাবি, মধ্যস্বত্বভোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করে ডাবের দাম নিয়ন্ত্রনে আনা হউক। স্থানীয় মোকাম হয়ে এই ডাবের বড় অংশ চলে যায় রাজধানীতে। আর কিছু অংশ বিক্রি হয় স্থানীয় বাজারে। ভোলা শহরে সদর রোডে, নতুন বাজার, কালীবাড়ি মোড়ে ও হাসপাতালের সামনে ৪০ টাকার ডাব বিক্রি হয় ১০০ থেকে ১২০ টাকা করে। আর রাজধানীতে গিয়ে আকার বেদে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।

এদিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলছে ডাবের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার মনিটরিং করা হবে।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে চলতি বছর জেলায় ১৬ হাজার হেক্টের জমিতে নারিকেল আবাদ হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ২১০ কোটি টাকা।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন