বুধবার, ১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

সুবর্ণচরে প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা সামগ্রীর টাকা গিলে নিয়েছে সেই শিক্ষা অফিসার আবু জাহের! 

সুবর্ণচরে প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা সামগ্রীর টাকা গিলে নিয়েছে সেই শিক্ষা অফিসার আবু জাহের! 
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ  সুবর্ণচরে ফের বিতর্কিত শিক্ষা অফিসার আবু জাহের। এবার  প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যাসিসটিভ ডিভাইস ক্রয়ের বরাদ্দকৃত অর্থ গিলে খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকারি বরাদ্দ পেলেও প্রতিবন্ধীদের জন্য কোনো অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বা সামগ্রী ক্রয় না করে বিল ভাউচার দেখিয়ে পুরো টাকা উত্তোলন করেছেন সুবর্ণচর  উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবু জাহের। জেলা শিক্ষা অফিস সূত্র থেকে জানাযায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে সুবর্ণচর উপজেলায় ২৭ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অ্যাসিসটিভ ডিভাইস ও সামগ্রী ক্রয়ের জন্য সুবর্ণচর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্তৃপক্ষ পরিকল্পনা কর্মসূচির আওতায় একটি প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ পেয়েছেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে প্রতিবন্ধীদের জন্য অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বা সামগ্রী ক্রয় না করে বিল ভাউচার দেখিয়ে সে অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে। মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চর তোরাব আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইকরাম হোসেন জানান, আমার স্কুলে দুইজন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী রয়েছে কিন্তু তারা আজ পর্যন্ত কোনো ডিভাইস বা সামগ্রী পায়নি।  কাগজে-কলমে দেখা যায় ঐ স্কুলের নামে তিনজন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে দেখানো হয়েছে। ঐসকল শিক্ষার্থীদের পরিচয় শিক্ষক নিজেও জানেন না। পরে খোঁজ নিয়ে জানাযায়, সরকারি অর্থ নয় ছয় করতে ভূয়া শিক্ষার্থী কাগজে কলমে দেখিয়েছেন শিক্ষা অফিসার। অনুসন্ধানে উঠে আসে অনেক  বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় ,   বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান সামগ্রী পাইনি বলে জানিয়েছেন। সুবর্ণচর উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবু জাহের নিজের দুর্নীতি  গোপন রাখতে বলেন,  কত টাকা বরাদ্দ এসেছে আমি নিজেও জানিনা,এগুলো ব্যাংকের মাধ্যমে আসে। নতুন অফিসার এসেছে উনি ভালো বলতে পারেন এবিষয়ে। যারা পাই নাই তাদেরকে পরে অন্যদের সাথে দিতে পারে মনে হয়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুনছুর আলী চৌধুরী জানান, আমরা সরকারি কর্মচারী আমাদেরকে সরকার বেতন দিয়ে রেখেছেন। তারা যদি এই ধরনের রক্ষণাবেক্ষণ করতে না পারে বিষয়টা কেমন দেখায় না? এর আগেও ঐ উপজেলার শিক্ষা অফিসার ২ জনের  বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগ আমরা দেখেছি। এই বিষয়টি আজই আমি যাচাই করে দেখতেছি তদন্ত করে। অপরাধ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নিশ্চিত করেন  এই গণমাধ্যম কর্মীকে।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন