দিনে টার্গেট করে রাতে ট্রান্সফরমার চুরি, চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার
(ঘোড়াঘাট) দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলাসহ আশপাশের জেলা থেকে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমা ও তার চুরি চোর চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। এ সময় বিপুল পরিমাণ বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের যন্ত্রাংশ ও বৈদ্যুতিক তামার তার উদ্ধার করা হয়। এর আগে সোমবার(৬ মে) দিনভর অভিযান চালিয়ে ঘোড়াঘাট উপজেলা ও গাইবান্ধা সদর ও পলাশবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি হওয়া মালামাল সহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বিকাল ৫টায় সংবাদ সম্মেলন করে ঘোড়াঘাট-হাকিপুর থানার সহকারী পুলিশ সুপার মো.শরিফুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়। বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় উপজেলার জনৈক আল আমিন নামে এক ব্যক্তি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর অধিনে উপজেলার সাব-জোনাল অফিসে অভিযোগ করে। পরে ঘোড়াঘাট সাব-জোনাল অফিসের এজিএম মেহেদী হাসান থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। সেই এজাহারের সূত্র ধরে ওসি আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে ওসি(তদন্ত) দেবব্রত রায় ও এসআই মেহেদী হাসানসহ থানা পুলিশের একটি দল অভিযান করে। এ সময় বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রান্সফরমার চোর চক্রের মোট ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় ৫ কেবি একটি ট্রান্সর্ফমার, ১২০ কেজি অ্যালুমিনিয়ামের ১ ফিট করে কাটা তিন বস্তা তার, ১৬০ কেজি নিউটাল সার্ভিসের তার ৫ বস্তা, ১টি ট্রান্সর্ফমা বসানোর ফ্রেম, ১৬০ কেজি বৈদ্যুতিক তার প্রোটেকশন প্লাস্টিকের কভার, লোহা কাটার ২টি হ্রাস্ক ব্লেডের ফ্রেম, ১৮ টি হ্রাস্ক ব্লেড, টেপ,২টি স্লাই রেঞ্জ,১টি স্ক্র ড্রাইভার, ২টি প্লাস, ২টি লাইলোনের রসি,২টি পুলি ক্যারিয়ার, ১৮ ইঞ্চি লোহার রড ৩টি, কালো রং এর হাফ প্যান্ট ৪টি, ১টি প্লাস্টিকের হকিস্টিক উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, দক্ষিণ দেবীপুরের কাওসার ইসলাম(২২), কশিগাড়ির এলাকার আনারুল ইসলাম (৩৫) ও সাব্বির হোসেন (২২) তারা তিন জনই ঘোড়াঘাট উপজেলার, পলাশবাড়ী উপজেলার শিমুল তলি এলাকার রতন মিয়া(৩৫) ও চোরাই মালামাল ক্রয়ের ভাংগেরি ব্যবসায়ী ডেভিড কোম্পানি মোড়ের রিয়াজ আকন্দ (২৮) দুই জনই গাইবান্ধা জেলার।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. শাহ ইফতেখার আহমেদ (পিপিএম)জানান, তারা ট্রান্সফরমার চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলা সহ বিভিন্ন থানা এলাকায় এবং পার্শ্ববর্তী জেলা গাইবান্ধার বিভিন্ন থানা এলাকায় ট্রান্সফরমারের তামার তার ও বৈদ্যুতিক তার চুরি করে আসছে। তারা দিনের বেলায় টার্গেট ট্রান্সফরমারের স্থানে রেকি করে এবং রাতে গিয়ে ট্রান্সফরমারের ঢাকনা খুলে তামার তারসহ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নিয়ে চলে আসে। ট্রান্সফরমার চুরি করতে তাঁদের মাত্র ২০–২৫ মিনিট সময় লাগে। চুরি করার পরে ট্রান্সফরমারের খালি বক্স সাধারণত ঘটনাস্থলেই ফেলে দেয়। চক্রটির সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারেও পুলিশের অভিযান চলছে।