বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে হবে: মহসিন মিয়া মধু


মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে জেলা বিএনপির নেতা ও সাবেক মেয়র মহসিন মিয়া মধু বলেন- সকল ভেদাভেদ ভুলে একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করতে হবে। যেখানে সকলের কথা বলার, বসার, এবং চলার সমান অধিকার নিশ্চিত থাকবে। ধর্ম যার যার দেশটা আমাদের সবার, আমরা চাই আমাদের সমাজ হবে বৈষম্যহীন ও সম্প্রীতির। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সব সময় এমনটাই চেয়েছেন। তিনি এখনো চান দেশের সকল জেলা উপজেলার নেতাকর্মীরা ভেদাভেদ ভুলে যেন সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে। আমরা আমাদের নেতার নির্দেশে সে কাজটাই করে যাচ্ছি।
রবিবার (৯ই মার্চ) শ্রীমঙ্গল পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এমন বক্তব্য রাখেন- শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সাবেক মেয়র, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য, ন্যাশনাল টি কোম্পানির পরিচালক মো. মহসিন মিয়া মধু।
এ সময় তিনি আরও বলেন, কিছু নেতা আছে তারা বসন্তের কোকিলের মতো। সুবিধা ভোগ করার জন্য বসন্ত আসলে আসে, বসন্ত চলে গেলে তাদেরকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। আমরা জনগণের সাথে ছিলাম, আছি, ভবিষ্যতেও থাকবো। তিনি বলেন- আমরা চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, দখলবাজ, লুণ্ঠনকারী,চোর-ডাকাত, চোরাকারবারি এবং ধান্দাবাজদের মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে দেবো না। যারা এ ধরনের কাজের সাথে জড়িত থাকবে তাদের চিহ্নিত করে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হবে। আমাদের দলে অপকর্মকারীদের কোন জায়গা হবে না।
এ সময় ইফতার ও দোয়া মাহফিলে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. ইয়াকুব আলী, উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আতিকুর রহমান জরিপ, আহবায়ক কমিটির সদস্য এম এ কাইয়ুম, এমদাদুল হক,আব্দুর রহিম, মোবারক হোসেন, আবুল হোসেন, টিটু দাস, পৌর বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য মোঃ সেলিম মিয়া, পৌর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক মিল্লাদ হোসেন মিরাশদার, যুগ্ন আহবায়ক আব্দুল জব্বার আজাদ, আহবায়ক কমিটির সদস্য আলকাছ মিয়া, ফয়ছল আহমদ, নজরুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি কাজী আব্দুল গফুর, যুবদল নেতা মুরাদ হোসেন সুমন, ছাত্রদল নেতা মোশাররফ হোসেন রাজসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের প্রায় দুই হাজার মানুষ।