শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

বালাগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির দাবী না মেনেই, বালাগঞ্জে মাসব্যাপী পণ্য মেলার উদ্বোধন

বালাগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির দাবী না মেনেই, বালাগঞ্জে মাসব্যাপী পণ্য মেলার উদ্বোধন

বালাগঞ্জ প্রতিনিধি:
বালাগঞ্জে মাসব্যাপী পণ্য মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন অতিথিবৃন্দ। এদিকে মেলা উদ্বোধনের আগে বালাগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ী সাথে মতবিনিময়ে বসেন শাপলা মহিলা উন্নয়ন সমিতির সভাপতি হাসনা হেনা খানম। আলোচনায় বালাগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি জুনেদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক কাওছার আহমদ সহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় ব্যবসায়ীরা দুইটি দাবী তুলে ধরেন পণ্য মেলার আয়োজক হাসনা হেনা খানমের কাছে। দাবী গুলো ১. বানিজ্য মেলা আসন্ন কোরবানির ঈদের পরে করতে ব্যবসায়ীদের কোন অসুবিধা হবে না। ২. একান্ত যদি মেলা করতে হয় তাহলে ৩ টি আইটেম অর্থাৎ যাবতীয় পোশাক, কসমেটিক্স পণ্য, সু সামগ্রী বাদ দিয়ে মেলা করতে হবে।

শাপলা মহিলা উন্নয়ন সমিতির আয়োজনে বালাগঞ্জ বাসষ্টেন্ডে এম.এ খান অডিটোরিয়াম প্রাঙ্গণে মেলাটির আয়োজন করা হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ও বক্তব্য রেখেছেন বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সামস্ উদ্দিন সামস, সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য নাসির উদ্দিন, বালাগঞ্জ থানা ওসি তদন্ত মো. ফয়েজ আহমদ, সাব-ইন্সপেক্টর মলাই মিয়া প্রমুখ। শাপলা মহিলা উন্নয়ন সমিতির সভাপতি হাসনা হেনা খানমের সভাপতিত্বে ও শামীম আহমদের সঞ্চালনায় মেলার উদ্বোধনী আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মেলার ব্যবসায়ী আব্দুল গফুর। মেলাটি একমাস ব্যাপী চলবে।

ব্যবসায়ী আবুল কাশেম অফিক বলেন, যদি দাবী না মানেন অন্যতায় ব্যবসায়ীরা এই মেলা বন্ধের জন্য কঠোর কর্মসূচি ডাক দিবে।

ব্যবসায়ীদের দাবী ও পণ্যমেলার বিষয়ে জানতে চাইলে বালাগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি জুনেদ মিয়া জানান, ঈদ উপলক্ষ্যে বালাগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী বৃন্দের দিক চিন্তা করে ঈদের পর মেলাটির আয়োজন করার কথা বলেছেন। এবং যদি করতেই হয় মেলা তবে যাবতীয় পোশাক, কসমেটিক্স পণ্য, সু সামগ্রী বাদ দিয়ে মেলা করার জন্য বলেছি। তারা দুই দিন সময় নিয়েছেন। যদি দাবী না মানেন তাহলে বণিক সমিতি বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবেন বলেছেন তিনি।

শাপলা মহিলা উন্নয়ন সমিতির সভাপতি ও আয়োজক হাসনা হেনা খানম ও পরিচালক কামাল আহমদ বলেন, আমি কোনো দাবি মেনে আসি নি। তাদের দাবী মেনে নেওয়ার কোনো সোর্স নেই। আমরা যে দোকান পাট নিয়ে এসেছি এগুলো যদি আবার রিটার্ন করি তাহলে ক্ষতিপূরণ আমাদের দিতে হবে। তাই ঈদের পরে মেলা চালু করা সম্ভব না।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন