রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

সিনেমার গল্পের উপর জোর দিতে হবে: অঙ্কুশ

সিনেমার গল্পের উপর জোর দিতে হবে: অঙ্কুশ

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : পূজার সিনেমা, পূজার গান বাঙালিকে আলাদা উত্তেজনা দেয়। সেই কথা মাথায় রেখেই পূজার সময় যে সিনেমা মুক্তি পায়, তাতে ‘ঝক্কাস’ ডান্স নাম্বার রাখাটাও একপ্রকার যেন রীতিতে পরিণত হয়েছে। এই বছর ‘রক্তবীজ’ সিনেমাতে ডান্স নাম্বারে পা মিলিয়েছেন টলিউডের ডান্সিং স্টার অঙ্কুশ হাজরা। বাংলা সিনেমার পর্দা থেকে টেলিভিশনের ডান্স রিয়ালিটি শোয়ের সঞ্চালনা, সবেতেই অঙ্কুশের জুটি মেলা ভার। বাংলা সিনেমায় ডান্সিং স্টার হাতে গোনা, এর মধ্যে অঙ্কুশ অন্যতম। ইদানীং ‘মসালা’ বাংলা সিনেমার সংখ্যা কমতে-কমতে তলানিতে ঠেকেছে। নায়ক অঙ্কুশ নিজেও অন্য ধারার সিনেমা বেশি করছেন। এই সিনেমাগুলিতে অ্যাকশন কিয়দংশে থাকলেও নাচ প্রায় থাকেই না। সেই জায়গা থেকেই ‘গোবিন্দ দাঁত মাজে না’ আইটেম নাম্বারে রাজি হয়েছিলেন অঙ্কুশ। নায়কের কথায়, আগে সিনেমাতে ছয় থেকে আটটা গান থাকত। দারুণ উপভোগ করতাম। অনেকদিন পর নন্দিতা-শিবপ্রসাদ এই গানের কথা বলায় রাজি হয়েছি। নায়কের অকপট স্বীকারোক্তি, আসলে নতুন কিছু করতে চাইছিলাম। এমনিতে সিনেমাতে দর্শক আমার নাচ দেখেছে। তবে এই সিনেমায় আমার ডান্স সিকোয়েন্সটা গল্পের একটি প্রয়োজনীয় অংশ। শুধু ডান্স করার জন্যই এই সিনেমাতে আইটেম ডান্স করেছি, এমনটা ঠিক নয়। নন্দিতা-শিবপ্রসাদ জুটির সিনেমা যখন, তখন তাতে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ কিছু থাকে। ‘রক্তবীজ’ সিনেমাতেও গানটি চিত্রনাট্যের একটি প্রয়োজনীয় অঙ্গ। এই গানের মাধ্যমেই গল্পের মোড় ঘুরছে। এই প্রসঙ্গ ধরেই আগামী দিনে অঙ্কুশের প্ল্যানিং জানতে চাইলে অভিনেতা বললেন, অনেকগুলি সিনেমার লাইন-আপ রয়েছে। সেগুলো আগে শেষ করব। তবে তার আগেই একটু বেড়িয়ে আসতে হবে। কী ধরণের সিনেমা করবেন তিনি, এ প্রশ্নের উত্তরে অঙ্কুশের জবাব, মাস ফিল্ম-ই করতে চাই, কারণ এই মাস ফিল্ম আমাকে জনপ্রিয়তা দিয়েছে। তিনি জানালেন, এখন থিয়েটার সেলিব্রেশন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। হাতে-গোনা সিনেমা বক্স অফিস কাঁপাচ্ছে। এই সূত্র ধরে অঙ্কুশ বললেন, শাহরুখের ‘জওয়ান’ সেলিব্রেটেড ফিল্ম। দর্শক হলে এসে সিনেমা উদযাপন করেছে। বাংলা সিনেমাকে সিনেমা হলে সেই উদযাপন ফিরিয়ে আনতে হবে। নায়ক এখন নিজেও প্রযোজকের ভূমিকায়। কী ধরনের সিনেমা করার কথা ভাবছেন? অঙ্কুশের মতে, সিনেমার গল্পের উপর জোর দিতে হবে। অঙ্কুশের কথায়, আগে দক্ষিণের সিনেমার সিডি কেনা হত লাখ-লাখ টাকা দিয়ে, কারণ কপি করতে হত। অথচ এখন চিত্রনাট্য লেখার উপর দশ হাজার টাকাও খরচ করতে চান না কেউ। ভালো গল্পকার খুঁজতে হবে। গল্প ভালো হলে হলমুখী হবে দর্শক, প্রত্যয়ী অঙ্কুশ। তার কথায়, এখন প্রযোজক-পরিচালকেরা ধরেই নিচ্ছেন যে, হল থেকে টাকা উঠবে না। টিভির স্বত্ব বেচে টাকা তুলবে। তাহলে আর সিনেমা কেন বানানো? আর সিনেমায় সেভাবে দাগ না-কাটতে পারলে কিছু বছর দেখে সিরিয়াল করেন অনেকে, জানিয়েছেন অঙ্কুশ। তবে সিনেমা করতে হলে সিনেমা হলে গিয়ে দর্শক সিনেমা দেখবে, এমন বিষয় ভাবতে হবে, স্পষ্ট কথা অঙ্কুশের। অভিনেতা তাই ভালো চিত্রনাট্যকার খুঁজছেন। লেখক-চিত্রনাট্যকারের উপরই মূলত বিনিয়োগ করতে চাইছেন এখন অঙ্কুশ। নতুন ভাবনার খোঁজে রয়েছেন ‘গোবিন্দ দাঁত মাজে না’ আইটেম নাম্বারের ডান্সার। সেই ভাবনা থেকেই প্রযোজনায় আসা তার। নানা ধরনের চরিত্রে নিজেকে তিনি দেখতে চান। যে সব প্রযোজক মরে-যাওয়া সিনেমা হলে ভালো চলবে, এমন ভাবনা থেকে সিনেমা করতে চান, সিরিয়াসলি তাদের আদর্শ হিসেবে দেখেন অঙ্কুশ। বড় পর্দার কথা ভেবেই বাংলা সিনেমা তৈরি করতে চান নায়ক।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন