শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, যার রেজি নং-৩৬)

ডোমারে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় আমন ধানের বাম্পার ফলন  

ডোমারে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় আমন ধানের বাম্পার ফলন  
 রবিউল হক রতন, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
উত্তর জনপথের ঐতিহ্যবাহী জেলা নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায়  আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
বর্ষার শুরুতে এই আমন ধান রোপণ করেছিলেন কৃষকেরা। এখন বর্ষার পানি জমি থেকে নামার সাথে সাথে ধানগুলোও পাকতে শুরু করছে। তাই এই ধানগুলো ঘরে তুলছে কৃষক। কৃষকের সাথে জুটি বেঁধে মাঠে কাজ করছে পরিবারের লোক জন ও কৃষাণীরা।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুড়ে দেখা যায়, খেত ভরা ধান কাটা, ঘরে তুলানো থেকে শুরু করে মাড়াই কাজে ব্যস্ত সময় পার করেছেন কৃষকেরা। এ বছর আমন ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় মহাখুশি কৃষক।
বোড়াগাড়ী ও জোড়াবাড়ী ইউনিয়ন ঘুড়ে দেখা গেছে, ধানের সোনালি ছড়ায় ভরে গেছে ফসলের মাঠ, বাতাসে দুলছে সোনালী ধানের শিষ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে। আর চালের দাম বেশি হওয়ায় ধানের দামও বেশি আশা করছেন কৃষক।
বেতগাড়া গ্রামের বঙ্কিম রায় বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে ছিল, পোকামাকড়ের আক্রমণও হয়নি। যে কারণে ধানের ফলন ভালো হয়েছে।
পশ্চিম বোড়াগাড়ী বটতলী গ্রামের কৃষক তৈয়ব আলী বলেন, আমি  ৪ একর জমিতে আমন ধান চাষ করেছি।  আমার ধান অনেক ভালো হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে বিএসগণ নিয়মিত তদারকি করায় তাদের পরামর্শে এবার আমরা সফলতার মুখ দেখেছি। চালের দাম যেভাবে বেড়েছে, সেভাবে যদি ধানের দামও মেলে তবে আগামী মৌসুমে আরও বেশি জমিতে ধান চাষ করব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ রফিকুল ইসলাম জানান,  এবার আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৯শত ৩৫ হেক্টর জমিতে। অর্জন হয়েছে ১৭ হাজার ৯শত ৪০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ হেক্টর বেশি জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। এতে গড় ফলন ৩.০৯ মেঃ টন আবাদ হয়েছে। এরই মধ্যে জমি থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ ধান কর্তন করা হয়েছে, কিছু ধান কাঁচা থাকলেও এক সপ্তাহের মধ্যে ধান কাটা ও মাড়াই কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করেন কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ রফিকুল ইসলাম।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন