রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, যার রেজি নং-৩৬)

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ স্লোগান নিয়ে আ.লীগের ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠান শুরু (লাইভ)

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ স্লোগান নিয়ে আ.লীগের ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠান শুরু (লাইভ)

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : থিম ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ আর ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ স্লোগানে নিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনী ইশতেহার-২০২৪ অনুষ্ঠান শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে পৌঁছান। ইশতেহার অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে রাখেন ইশতেহার প্রণয়ন উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুস রাজ্জাক।  দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দলীয় ইশতেহার তৈরির জন্য দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছ থেকে মতামত নিয়েছে আওয়ামী লীগ।ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর এবার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে বিশেষ পদক্ষেপ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং আর্থিক খাতের সুশাসনের ওপর জোর দিয়ে আসন্ন নির্বাচনের ইশতেহার প্রস্তুত করা হয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ স্লোগানে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেছিল আওয়ামী লীগ। তাতে ২০৪১ সালে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং ২১০০ সালে নিরাপদ ব-দ্বীপ পরিকল্পনার রূপরেখা দেয়া হয়। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ‘দিন বদলের সনদ’ নিয়ে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা। সেই ইশতেহারের অঙ্গীকারে বলা ছিল- ২০২১ সালের মধ্যেই ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে।

আওয়ামী লীগের ইশতেহারে যে ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে-  

১. দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।

২. কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।
৩. আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
৪. লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি।
৫. দৃশ্যমান অবকাঠামোর সুবিধা নিয়ে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানো।
৬. ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
৭. নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা।
৮. সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সবাইকে যুক্ত করা।
৯. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
১০. সাম্প্রদায়িকতা এবং সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধ করা।
১১. সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটানো।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন