শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

কোরবানির জন্য সাড়ে ৫ লাখ পশু প্রস্তুত ময়মনসিংহ বিভাগে

কোরবানির জন্য সাড়ে ৫ লাখ পশু প্রস্তুত ময়মনসিংহ বিভাগে

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া মিলিয়ে নিরাপদ গবাদি পশুর সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ ৬১ হাজার ৭৮০টি। এ বিভাগে কোরবানিযোগ্য গবাদি পশুর চাহিদা প্রায় ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৯৬টি এবং উদ্ধৃত্ত ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬৮৪টি। ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বিভাগে গত বছর কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৭৮৯টি এবং চাহিদার তুলনায় ১ লাখ ৪৭ হাজার ৩৭৯টি পশু অতিরিক্ত ছিল। এ বছর ময়মনসিংহ জেলায় কোরবানির জন্য ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯২৬টি গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে। চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার ৫৯৮ টি। ষাঁড়, বলদ ও গাভি মিলিয়ে মোট কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ৮৪ হাজার ৬টি এবং মহিষ ১ হাজার ৮৪১টি, ছাগল ১ লাখ ৫৬ হাজার ৭০২টি ও ভেড়া ৭ হাজার ৩৭৭টি। নেত্রকোণা জেলার কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে গবাদি পশুর সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৮২টি এবং চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৩৮৮টি। জামালপুর জেলায় গবাদি পশুর সংখ্যা রয়েছে ৯৫ হাজার ১৭০টি ও চাহিদা আছে ৫১ হাজার ৫৩১টি এবং শেরপুরে গবাদি পশুর সংখ্যা ৮৩ হাজার ৮০২টি ও চাহিদা আছে ৫৭ হাজার ৫৭৯টি।  প্রাণিসস্পদ অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক ডা. মনোরঞ্জন ধর বলেন, ময়মনসিংহসহ বিভাগের চার জেলায় খামারি এবং কৃষক পর্যায়ে কোরবানির জন্য ৫ লাখ ৬১ হাজার ৭৮০টি গবাদিপশু প্রস্তুত করা হয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় ১ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি। এবারও ক্রেতাদের চাহিদা ও সুবিধার কথা চিন্তা করে পশুর হাটের পাশাপাশি অনলাইনে গবাদিপশু কেনাবেচার মাধ্যম রাখা হবে। হাটগুলোতে থাকবে প্রাণিসম্পদের ভেটেনারি মেডিকেল টিম। তাই আশা করা যায়, খামারিরা ন্যায্যমূল্য পাবেন। বিভাগীয় পরিচালক আরও বলেন, বর্তমানে তাপপ্রবাহের কারণে গবাদিপশু যাতে অসুস্থ না হয় সেজন্য  আমাদের টিম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে। মাঠ পর্যায়ে খামারিদের নিয়ে এই তাপপ্রবাহ মোকাবিলা করার জন্য তাদের মধ্যে ব্যানার, ফেস্টুন বিলি করা হচ্ছে, যাতে করে পশুদের এই গরমে সহনীয় পর্যায়ে সুস্থ রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।  পশুপালন খাতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে পশুখাদ্যের কিছু উপকরণের দাম বেড়ে এখন দ্বিগুণের বেশিতে। আবার ওষুধ, বিদ্যুৎ, কর্মচারীদের বেতনসহ সার্বিক উৎপাদন ব্যয় বাড়াতে হয়েছে খামারিদের। এর ধারাবাহিকতায় এবার গত বছরের তুলনায় কোরবানির পশুর দাম একটু বাড়তে পারে। খামারিদের আশা গতবারের তুলনায় কোরবানির হাট জমজমাট হবে এবং ভালো দামের আশা করছেন।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন