শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

‘সিঙ্গেল ইউজ’ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে কর্মপরিকল্পনা: মন্ত্রী

‘সিঙ্গেল ইউজ’ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে কর্মপরিকল্পনা: মন্ত্রী

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া হয় (সিঙ্গেল ইউজ) প্লাস্টিকের এ ধরনের ব্যবহার বন্ধে তিন বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। সরকার প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘মাল্টিসেক্টোরাল অ্যাকশন প্ল্যান ফর সাসটেইনেবল প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ বাস্তবায়ন করছে। অবৈধ পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন, পরিবহন, বিক্রি, মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে সরকারের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, এনজিও, প্রাইভেট সেক্টর, পরিবেশবাদী সংগঠন এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে বলেও জানান মন্ত্রী। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) পরিবেশ অধিদপ্তরে প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পরিবেশমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের ১২ জেলার ৪০টি উপজেলায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে তিন বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। সমুদ্র সৈকত ও তৎসংলগ্ন হোটেল মোটেলে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের বিভিন্ন আইটেম পর্যায়ক্রমে বন্ধের বিষয়ে কার্যক্রম চলমান। তিনি জানান, ২০৩০ সাল নাগাদ ৫০ শতাংশ ‘ভার্জিন ম্যাটেরিয়াল’ ব্যবহার হ্রাস করা, ২০২৬ সালের মধ্যে ৯০ শতাংশ সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করা, ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য পুনঃচক্রায়ন নিশ্চিত করা, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদন হ্রাস করার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সবাই একসঙ্গে কাজ করলে প্লাস্টিক দূষণ রোধে সফল হওয়া যাবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক রাজিনারা বেগম। কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, এনজিও, ব্যবসায়ী সংগঠন ও ফার্মের প্রতিনিধিরা পাঁচটি গ্রুপে ভাগ হয়ে প্লাস্টিক দূষণ রোধে করণীয় চিহ্নিত এবং উপস্থাপন করেন।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন