কোনো বিশেষ দলকে বাঁচাতে জাতীয় পার্টি রাজনীতি করবে না : জিএম কাদের
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, কোনো বিশেষ দলকে বাঁচাতে জাতীয় পার্টি রাজনীতি করবে না। আমরা আমাদের নিজস্ব রাজনীতি নিয়ে এগিয়ে যাবো। জনগণের ডিমান্ড বিবেচনা করে রাজনীতি করবো। আমরা গণমানুষের স্বার্থ বিবেচনা করে কর্মসূচি ঘোষণা করবো।
বুধবার (৬ মার্চ) জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে পার্টির প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যদের যৌথ সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জাতীয় পার্টির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। এর আগেই সব জেলা ও উপজেলার কাউন্সিল সম্পন্ন করতে হবে। জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভা, ইফতার মাহফিল এবং বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ করা হবে। প্রেসিডিয়াম সভা শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের জাতীয় পার্টি মহাসচিব ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় বর্ধিতসভা অনুষ্ঠিত হবে। সব জেলা-উপজেলার নেতারা উপস্থিত থাকবেন ওই সভায়। সেখানে জাতীয় পার্টির সার্বিক রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হবে। আগামী আগস্টের মধ্যে ৩ থেকে ৫ সদস্যের ছোট ছোট কমিটি করে জেলায় জেলায় পাঠানো হবে। তারা দলের সাংগঠনিক শক্তি পর্যালোচনা করে কেন্দ্রে একটি রিপোর্ট দেবে। আগামী আগস্টের মধ্যেই সব জেলার সম্মেলন শেষ করা হবে। চলতি বছরের ১২ অক্টোবর জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করার জন্য সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। অমার্জনীয় অপরাধের জন্য যারা বহিষ্কার হয়েছেন তারা ব্যতীত অন্য বহিষ্কৃতরা ক্ষমা চাইলে পার্টি চেয়ারম্যান যেন সহানুভূতির দৃষ্টিতে বিবেচনা করেন; সে ব্যাপারে চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করা হয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, দল থেকে বহিষ্কৃত অনেকেই আবারও দলে ফিরতে চেয়ে যোগাযোগ করছেন। পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে বহিষ্কার করার জন্য কাজী ফিরোজ রশীদের বাসায় মিটিং হয়েছিল। তাই কাজী ফিরোজ রশীদকে পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তথাকথিত সম্মেলন কমিটির সভায় বক্তৃতা করায় সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কারণ, বাবলা সাহেব নিজেই পার্টি থেকে চলে গেছেন। মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, গোলাম মোহাম্মদ কাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, এই দলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১২। এই দলের মার্কা লাঙ্গল। তথাকথিত সম্মেলন যারা করছে তারা ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছিল যে, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন তাদের ওই চিঠিকে নাকচ করে দিয়েছে। আমাদের দলের বাইরে কেউ যদি মহাসম্মেলনও করে সে বিষয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। জাতীয় পার্টির নামে ব্রাকেটে যদি কেউ মই মার্কা, আম মার্কা, জাম মার্কা, বেগুন মার্কা করে, তাহলে করতেই পারে। সে ব্যাপারে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। সভার শুরুতে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমানসহ প্রয়াত নেতাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সভাপতিত্বে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যদের যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র কো- চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।