শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

সুপার ওভারে জয়

সুপার ওভারে জয়

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : শেষ দুই বলে প্রয়োজন ১ রান। ফাহিমা খাতুনের বলটি টোকা দিয়ে সিঙ্গেল নিতে চেয়েছিলেন নাশরা সান্ধু। কিন্তু নাহিদা আক্তারের বাড়িয়ে দেওয়া বলে রানআউট হন তিনি। তাতেই উল্লাসে মেতে ওঠে বাংলাদেশ। কেননা খেলা যে টাই হয়ে যায়। তাতে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফিরে আসে জুলাইয়ের সেই ভারত ম্যাচটির স্মৃতি। সেদিনও টাই হয়েছিল। তবে গতকাল একটু ব্যতিক্রম। কেননা খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানেও শেষ বলে ৪ হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে পরাজয়ের পর দারুণ লড়াইয়ে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা ফেরালেন টাইগ্রেসরা। টি-টোয়েন্টির মতো এই সিরিজও জয়ের সম্ভাবনা বেঁচে রইল। আগের দিন দিল্লিতে ভাগ্য ফিরেছে সাকিব আল হাসানদের। তারা হারিয়েছেন শ্রীলঙ্কাকে। আর সেটাই যেন আত্মবিশ্বাসের টনিক হিসেবে কাজ করেছে তাদের জন্য। যে জয়ের দিনে তারা টস-ভাগ্যেও জয় পান। আর সেটা জিতে অধিনায়ক জ্যোতি নেন ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত। উদ্বোধনী জুটিতে ২১ রানের বেশি হয়নি। মুর্শিদা খাতুন ১২ রানে আউট হয়ে যান। দলীয় ৪৩ রানে সুবহানা মোস্তারি ১৬ রান করে ফেরার পথ ধরেন। তারপর জ্যোতি ও ফারজানা মিলে গড়েন ৪৯ রানের জুটি। তাদের ব্যাটে বড় সংগ্রহের আভাস পাচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু জুটি ভাঙতেই নামে ধস; যা আর কাটিয়ে উঠতে পারেননি তারা। দলীয় ৯২ রানে সেটা ভাঙে ফারজানার রানআউটে। ফেরার আগে ৪০ রান করেন তিনি। ৮৮ বল খেলে তিনিও হাঁকান মাত্র তিনটি চার। দলের পক্ষে অধিনায়ক জ্যোতি সর্বোচ্চ ৫৪ রান করে আউট হয়েছেন। তবে এদিন তিনি খেলেছেন স্বভাবসুলভ ব্যাটিংয়ের বাইরে গিয়ে। ১০৪ বল খেলে তার ব্যাট থেকে আসে তিনটি চার। পরে তিনি বলেছেন, ‘এদিন ব্যাটে-বলে সংযোগ হচ্ছিল না ঠিকমতো। তাই অ্যাটাকিং ভঙ্গিমায় খেলতে পারছিলাম না। তবে দলের জন্য কন্ট্রিবিউট করতে চেয়েছি। তাই স্বভাবের বাইরে গিয়ে একটু মন্থর গতিতে ব্যাট চালিয়েছি। সেটা পেরেছি বলে শেষ মুহূর্তে আমরা জয় পেয়েছি, এটা ভেবেই ভালো লাগছে।’ স্বাগতিকদের অল্পতে বেঁধে রাখলে পাকিস্তান টপ অর্ডাররা স্বস্তি নিয়ে ব্যাট করার সুযোগ পান। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৪১ রান। সেটা ভাঙেন ফাহিমা। সিদরা আমিন ২২ করে ফিরে যাওয়ার পর বিসমাহ মারুফও এসে টেকেননি বেশি সময়। ২৩ রান যোগ করে ওপেনার সাদাফ শামাস ফেরেন ব্যক্তিগত ২৯ রানে। তারপরই নামে ধস। বাংলাদেশি ফিল্ডারদের বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগ নিয়ে ডায়ানা বাইগরা কক্ষপথে ফিরিয়ে এনেছিলেন পাকিস্তানকে। কিন্তু জয় থেকে মাত্র ১ রান দূরে থাকতে নাশরা রানআউট হলে খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। বাংলাদেশকে সর্বাধিক ১৯ ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়া অধিনায়ক জ্যোতি ম্যাচ শেষে জানালেন, এমন সুপার ওভার তিনি আর চান না। ‘অবশ্যই আমার মনে হয় এটা অনেক বড় অভিজ্ঞতা বা শেখার দিক আমাদের জন্য। হয়তো বিশ^কাপের মতো স্টেজেও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে এখন যখন আমরা চেষ্টা করছি, শিখছি এবং খেলছি; পরিস্থিতিতে যখন না আসব, তখন ওটা কীভাবে সামলাতে হয়, সেটা জানব না। সেই ক্ষেত্র থেকে অবশ্যই। কিন্তু সুপার ওভার ভাই আর চাই না।’

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন