আবারও বাংলাদেশের সেরা ক্রেডিট রেটিং অর্জন করল ব্র্যাক ব্যাংক
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এজেন্সি মুডিস ইনভেস্টর সার্ভিস আবারও ব্র্যাক ব্যাংককে সর্বোচ্চ ক্রেডিট রেটিং দিয়েছে। বাংলাদেশে সর্বোচ্চ ক্রেডিট রেটিং ‘স্থিতিশীল’ আউটলুক অর্জন করেছে ব্যাংকটি। বর্তমানে ব্র্যাক ব্যাংকই একমাত্র বাংলাদেশি ব্যাংক, যা পেয়েছে ‘বি১’ ক্রেডিট রেটিং। এই রেটিংটি বাংলাদেশের সার্বভৌম রেটিংয়ের সমতুল্য। এই অর্জনটি ব্র্যাক ব্যাংক ২০১৯ সাল থেকে বজায় রেখেছে। এই বিশ্ববিখ্যাত ক্রেডিট রেটিং এজেন্সিটি বাংলাদেশের ব্যাংকিং সিস্টেম আউটলুক ‘নেতিবাচক’ থেকে পরিবর্তন করে ‘স্থিতিশীল’- এ উন্নীত করেছে। এর ফলে বোঝা যাচ্ছে, বাংলাদেশের ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির মুনাফা এবং তারল্য-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রত্যাশা অনেকটাই পূরণ হয়েছে। এ থেকে আরো বোঝা যায়, পদ্ধতিগত স্থিতিশীলতা বজায় রাখার লক্ষ্যে দেশের ব্যাংকগুলোর প্রতি সরকার সহায়তা অব্যাহত রাখবে। মুডিসের মতে, বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংকের কোর ক্যাপিটাল বেইজ সবচেয়ে শক্তিশালী। এর আগে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংসও ব্র্যাক ব্যাংককে ‘স্থিতিশীল’ আউটলুকে ‘বি+’ ক্রেডিট রেটিং দিয়েছিল। বিশ্বের শীর্ষ দুই রেটিং এজেন্সি মুডিস ইনভেস্টর সার্ভিস এবং এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস থেকে ধারাবাহিকভাবে সর্বোচ্চ রেটিং অর্জন ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাসেট কোয়ালিটি, লিকুইডিটি এবং মূলধন পর্যাপ্ততা যে দেশে বিদ্যমান ইন্ডাস্ট্রি অ্যাভারেজের চেয়ে অনেক ভালো, তারই প্রতিফলন। এমন অর্জন সম্ভব হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বৈচিত্র্যময় ব্যবসায়িক মডেল, বিস্তৃত ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক, গতিশীল ম্যানেজমেন্ট টিম এবং শক্তিশালী কর্পোরেট সুশাসন সংস্কৃতির দ্বারা। ব্যাংকের এই ‘স্থিতিশীল’ আউটলুক এটি নির্দেশ করে, ব্যাংকটি ধীরস্থিরভাবে বাংলাদেশে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠছে এবং আগামী ১২ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ফাইন্যান্সিয়াল প্রোফাইল আরও শক্তিশালী হবে। এছাড়া, বাংলাদেশের দুটি ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি, ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ (সিআরএবি) এবং ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড কর্তৃক সর্বোচ্চ রেটিং ‘এএএ’ অর্জন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। ক্রেডিট রেটিংয়ের এমন অর্জন সম্পর্কে ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, বছরের পর বছর ধরে ক্রেডিট রেটিংয়ে আমাদের এমন শ্রেষ্ঠত্বের পেছনে রয়েছে আমাদের ব্যালেন্সশিট এবং লিকুইডিটির দক্ষ ব্যবস্থাপনা, শক্তিশালী পরিপালন সংস্কৃতি, স্বাধীন ও ভিশনারি পরিচালনা পর্ষদ এবং পেশাদার ও দক্ষ ম্যানেজমেন্ট টিমের ভূমিকা। বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাংক হিসেবে দেশের ‘সার্বভৌম রেটিংয়ের সমতুল্য’ ক্রেডিট রেটিং অর্জন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্বিত। তিনি আরো বলেন, এই দারুণ মুহূর্তে আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের গ্রাহক, শেয়ারহোল্ডার, বিনিয়োগকারী, সহকর্মী, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, পরিচালনা পর্ষদ এবং সকল স্টেকহোল্ডারদের প্রতি। তাদের অবিচল আস্থা এবং সহায়তাই আমাদের এমন সাফল্যের চাবিকাঠি।