নোয়াখালীতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু, বসতঘর-গরু পুড়ে ছাই
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : নোয়াখালী সদর উপজেলায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মো. নূর ইসলাম ইস্রাফিল (৬০) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় অগ্নিকাণ্ডে আরও তিনজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পশ্চিম চর উরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে তিনটি বসতঘরসহ ৯টি ভেড়া ও একটি গরু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। নিহত নূর ইসলাম ইস্রাফিল নোয়াখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পশ্চিম চর উরিয়া গ্রামের মৃত মো. হাবিবুল্লাহর ছেলে। আহতরা হলেন- নিহত নূর ইসলামের ছেলে মো. সেলিম (৪০), সেলিমের স্ত্রী মায়া বেগম (৩৫) ও আব্দুল কবিরের মেয়ে শেফালি বেগম (৪৫)। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরে সেহেরি খেয়ে নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে পড়েন নূর ইসলাম ও পরিবারের লোকজন। কিছুক্ষণ পর শর্টসার্কিটের আগুন মূহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলেও কাঁচা সড়ক হওয়ায় গাড়ি প্রবেশ করতে পারেনি। এ সময় চারজন অগ্নিদগ্ধ হয় এবং বসতবাড়ির টিনশেডের তিনটি ঘর, একটি গরু ও ৯টি ভেড়া মারা যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দগ্ধদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।স্থানীয় বাসিন্দা ফজলে রাব্বি ঢাকা পোস্টকে বলেন, মুহুর্তের মধ্যে আগুনে সব কিছু ছাই হয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসকে কল দিলেও রাস্তা না থাকায় গাড়ি প্রবেশ করতে পারেনি। স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষণে তিনটি বসতঘর, একটি গরু ও নয়টি ভেড়া পুড়ে ছাই হয়ে যায়। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নিজাম উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, অগ্নিদগ্ধ হয়ে নূর ইসলাম মারা যান। তার মরদেহ নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে রয়েছে। শেফালি বেগম ও মায়া বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। সেলিম বর্তমানে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নোয়াখালীর বক্তব্য নিতে দায়িত্বশীলদের একাধিকবার ফোন দিলেও কেউ রিসিভ করেননি। নোয়াখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাওলানা ইয়াসিন আরাফাত ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি খবর নিয়েছি। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। পরিবারের প্রধানের এমন মৃত্যু এবং সম্পদের ছাই হয়ে যাওয়া সত্যিই দুঃখজনক। আমরা পরিষদের পক্ষ থেকে তাদের পাশে থাকব।