গাজায় ইসরায়েলের হামলা চলছেই, নিহত আরও ৮৫
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। গত ২৪ ঘণ্টায় ভূখণ্ডটিতে আরও ৮৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার দেশটি। বুধবার (২২ মে) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু এবং কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৫ জন নিহত এবং আরও ২০০ জন আহত হয়েছেন। উদ্ধারকারীরা পৌঁছাতে না পারায় অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন। ওয়াফা নিউজ এজেন্সির বরাতে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্য গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় অন্তঃসত্ত্বা এক নারী এবং তার অনাগত সন্তানসহ ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থাটি বলছে, নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের আল-জাওয়াইদা এলাকায় বাস্তুচ্যুত লোকদের ভিড়ে বোমা হামলা করা হলে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। ভোরে মধ্য গাজার জাওয়াইদা এলাকার আশপাশে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গাজা সিটিতে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে ইসরায়েলি সৈন্য এবং ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই হচ্ছে। পশ্চিম রাফাহের তাল আস-সুলতান এলাকার একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বাহিনী বিমান হামলা করেছে। হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কি না তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গত বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরায়েলে এই দশকের সবচেয়ে বড় হামলা চালায় হামাস। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল। আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৬৪৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত ৭৯ হাজার ৮৫২ জন। এ গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজার ২২ লাখ অধিবাসী দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে। দ্রুত ত্রাণ পৌঁছাতে না পারলে বিশ্বকে জবাবদিহি করতে হবে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, গাজার রাফাহ শহরে ইসরায়েল বড় ধরনের স্থল অভিযান চালালে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেবে। এমন হুঁশিয়ারির জবাবে পরদিন যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে উদ্দেশ করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, কোনো ধরনের চাপই ইসরাইলকে গাজা গণহত্যা ও চলমান যুদ্ধে লক্ষ্য অর্জনে বাধা দিতে পারবে না। প্রয়োজনে ইসরায়েল একা দাঁড়াবে। এমন অবস্থার মধ্যেই রাফায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।