বৌদ্ধদের বিশ্বাস, এই পুণ্যতিথিতে গৌতম বুদ্ধের আবির্ভাব, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহাপরিনির্বাণ ঘটেছিল। যথাযথ ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা এ উৎসব পালন করবে। বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আজ সকালে মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করবে বৌদ্ধরা। দেশের বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দিরে আলোকসজ্জা, ত্রিপিটক থেকে পাঠ, কঠিন চীবর দান, আলোচনাসভাসহ থাকছে নানা আয়োজন। জগতের সব প্রাণীর সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ প্রার্থনা।
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বৌদ্ধধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম বুদ্ধের জন্ম তিথি উপলক্ষে বুদ্ধ পূর্ণিমার উৎসব উদযাপন করা হয়। দিনটি সারা বিশ্বের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই দিনে সিদ্ধার্থ গৌতম জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বুদ্ধগয়ায় বোধি বৃক্ষের নিচে বুদ্ধত্ব এবং মহাপরনির্বাণ লাভ করেছিলেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, ‘মানুষের কল্যাণে এবং সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় মহামতি গৌতম বুদ্ধ প্রচার করেছেন অহিংসা, সাম্য, মৈত্রী ও করুণার বাণী। হিংসায় উন্মত্ত পাশবিক শক্তিকে দমন, মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে আজকের পৃথিবীতে বুদ্ধের শিক্ষা অনুসরণ করা প্রয়োজন।’
দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আজ বঙ্গভবনের ক্রেডেনশিয়াল হলে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের সংবর্ধনা দিবেন।