শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

বিশ্বকাপ সেরা নাকি ইউরো, এমবাপ্পেকে মেসির কড়া জবাব

বিশ্বকাপ সেরা নাকি ইউরো, এমবাপ্পেকে মেসির কড়া জবাব

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পের সম্পর্কটা অম্ল-মধুর। ২০২১ সালে অনেকটা বাধ্য হয়েই বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেন আর্জেন্টাইন তারকা। সেখানে কিলিয়ান এমবাপ্পে ছাড়াও বার্সার সাবেক সতীর্থ এবং দীর্ঘদিনের বন্ধু নেইমারকে পান মেসি।

নেইমার-মেসির ঘনিষ্ঠতা যেন মানতে কষ্ট হয় এমবাপ্পের। সে সময় তার নানা ধরনের নেতিবাচক আচরণ ও মন্তব্য শিরোনাম হয় সংবাদের। দুজনের বৈরিতা আরও বাড়ে কাতারের বিশ্বকাপের ফাইনালের পর। ফ্রান্সকে হারিয়ে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা।

মেসি বেশ কয়েকবার তার সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ফরাসি ক্লাবটি তাকে স্বাগত জানায়নি। এ ছাড়া এমবাপ্পের সঙ্গেও যে তার সম্পর্কের ফাটল ধরেছে তাও স্বীকার করেছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা।

ফুটবলবিষয়ক গণমাধ্যম ইএসপিএন আর্জেন্টিনাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই সম্পর্কে একটি নমুনা তুলে ধরেন মেসি। বিশ্বকাপ চেয়ে ইউরো কঠিন—ফরাসি তারকার এমন মন্তব্যে জবাবটা কড়া দেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি।

মেসি জানান, ‘এমবাপ্পে বলেছিল, ইউরো বিশ্বকাপের চেয়ে কঠিন? তিনি আরও বলেছিলেন দক্ষিণ আমেরিকার দলগুলো ইউরোপীয়দের প্রতিযোগিতা থাকে না। তারা যা (কোপা) খেলে তাকেই বেশি মূল্যবান মনে করে।’

আর্জেন্টিনার অধিনায়ক বলেন, ‘আমি এমবাপ্পেকে বলেছি, ইউরো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেখান থেকে তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা, পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল, দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন উরুগুয়েকে রাখা হয় না।’

মেসি জানান তিনি ফরাসি তারকাকে আরও বলেন, ‘ইউরো কাপকে সবচেয়ে কঠিন বলার মতো অনেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বাইরেই রয়ে গেছে, তাই না? আর বিশ্বকাপে সেরা দলগুলো খেলে। সব বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরাই থাকে। তাই সবাই চায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে।’

এ সময় পিএসজির সঙ্গে তার সম্পর্ক প্রত্যাশামাফিক শেষ হয়নি বলেও জানান মেসি। ফরাসি ক্লাবটি জার্সিতে দুই বছরে দুটি লিগ শিরোপা জেতেন তিনি। ফরাসি ক্লাবটির সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে মেসি বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে আমার বলার কিছু নেই। তবে দুর্ভাগ্যবশত, আমি যেমনটা আশা করেছিলাম তেমনভাবে সবটা শেষ হয়নি। ব্যক্তিগতভাবে, আমি কঠিন পার করছিলাম; যা আমাদের জন্য ছিল খুব কঠিন। এটা আমাকে আবেগগতভাবে অনেক প্রভাবিত করে। প্যারিসে থাকাকালীন আমার সঙ্গে সবচেয়ে ভালো জিনিসটি হয়েছিল, আমি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছি।’

বিশ্বকাপ জয়ের পর প্যারিসে জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে যায় বলেও মন্তব্য করেন মেসি, ‘প্যারিসে, প্রতিবেশীরা কঠোর হয়ে যায়। রাত ৯টা কি ১০টা বাজে, এমন সময় দরজার ঘণ্টা বাজিয়ে আমাদের আওয়াজ কম রাখতে বলত তারা।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন