রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

সুবর্ণচরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারের মাঝে উপকরণসহ ধানের চারা গাছ বিতরণ

সুবর্ণচরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারের মাঝে উপকরণসহ ধানের চারা গাছ বিতরণ
মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় সাম্প্রতিক বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত চিহৃিত এলাকার কৃষক-কৃষাণী পরিবারের মাঝে উপকরণসহ ধানের চারা গাছ বিতরণ করা হয়েছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার চর জব্বর ইউনিয়নে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন লক্ষ্যেতে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারের মাঝে দুইটি সামাজিক সংগঠণ কেএফএইচ এবং এগ্রি স্টুডেন্টস এলায়েন্সের যৌথ উদ্যোগে কৃষকদের মাঝে এসব ধানের চারা ও কৃষি উপকরণ সরবরাহ হয়েছে।
সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুন অর রশিদের সার্বিক সহায়তায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুইটিমটা  সামাজিক সংগঠণের নেতৃবৃন্দসহ প্রমুখ।
কৃষিবিদ ফাউন্ডেশন ফর হিউমানিটি (কেএফএইচ) এবং এগ্রি স্টুডেন্টস এলায়েন্স বিডি এর যৌথ আয়োজনে ঢাকা ব্যাংকের সহযোগিতায় আজ ১০০ জন কৃষককে ধানী গোল্ড ও বিনা-১৭ জাতের ধানের চারা বিতরণ করা হয়। প্রতিজন কৃষককে ১ বিঘা জমিতে চাষের উপযোগী চারা এবং ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি, ডিএপি সার ও প্রয়োজনীয় কীটনাশক দেয়া হয়েছে। আরও ১০০জন কৃষককে এই সহায়তা দেয়া হবে বলে নিশ্চিত করেন কর্মকর্তারা।
এ সময় ঢাকা ব্যাংকের কৃষি ব্যাংকিং ইউনিটের এসভিপি ও হেড মো. কাতেবুর রহমান বন্যার্তদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে গৃহীত এ উদ্যোগে সম্পৃক্ত হয়ে কৃষকদের পাশে থাকতে পেরে নিজেদের সন্তুষ্টি ব্যক্ত করেন। কৃষকদের কল্যানে গৃহীত অন্যান্য কার্যক্রমেও সহযোগিতা করবেন মর্মে উক্ত অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন।
এগ্রি স্টুডেন্টস এলায়েন্স বিডি’র আহ্বায়ক আশিকুর রহমান জানান,  বন্যার দুর্গত এলকায় কৃষি জমিতে যথাসময়ে রোপণের জন্য ধানের চারা উৎপাদনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রদের সাথে নিয়ে কৃষকদের সহায়তার লক্ষ্যে এমন কর্মশালা হাতে নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। ধান চাষের মৌসুম অনুযায়ী উপযুক্ত জাতের বীজের স্বল্পতাসহ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে পর্যাপ্ত ধানের চারা দিতে না পারলেও অন্যান্য ফসলের বীজ ও চারা সরবরাহ করা সম্ভব কৃষক পরিবারের মাঝে।
অনুষ্ঠানে কেএফএইচ এর চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সামছুল ইসলাম আরও জানান, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে কেএফএইচ এই উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে। কৃষি তথা কৃষকের জীবনমান উন্নয়নে ভবিষ্যতে আরও কার্যক্রম গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানান।
বন্যার কারণে বীজতলায় পানি থাকায় কৃষকগণ যথাসময়ে বীজতলা প্রস্তুত করতে পারেনি। যৎসামান্য উঁচু জমিতে তিন থেকে চার বার ধান বপণ করলেও তা বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তাঁরা নিরুপায় অবস্থায় ছিলেন। চারা ও কৃষি উপকরণ পেয়ে বেশ উপকৃত হয়েছেন মর্মে উপস্থিত কৃষকগণ জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ। উপস্থিত অতিথি ও কৃষকগণ এমন কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের  ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানের  উদ্দেশ্যে চারা উত্তোলন, পরিবহণসহ সার্বিক বিষয়ে সমন্বয় করেন কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. ইমরান খান চৌধুরী।
এ সময় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, এগ্রি স্টুডেন্ট এলায়েন্স এর সেক্রেটারি এবং কেএফএইচ  সেক্রেটারী জেনারেলসহ উভয় সংগঠনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন