ভারত স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগীতা করেছে তাদের স্বার্থে: মাহিদুর রহমান
মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মাহিদুর রহমান বলেছেন, ভারত কখনো এদেশকে সফল রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়না। তারা স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগীতা করেছে তাদের স্বার্থে, আমাদের স্বার্থে নহে। তারা চেয়েছিলো অবিভক্ত পাকিস্থানকে দুই ভাগে বিভক্ত করতে পারলেই তারা শান্তিতে থাকবে। তারা কখনো পাকিস্থানকে সহ্য করতে পারেনি। এজন্য তারা এই ভূরাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়েছিলো। যার প্রতিফলন এখন ফুটে উঠছে। ভারতকে আমরা বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চাই। উভয় দেশের জনগণও এটা চায়।
পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারকারী তাদের দোসররা এখন ওই টাকা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে নানা প্রোপাগান্ডা ব্যয় করছে। তারা এখনো দেশের মধ্যে বীরদর্পে চলাফেরা করে ওই কালো টাকা ব্যয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে অশান্ত করতে চাইছে।বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রোল মডেল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত ও তাদের তাঁবেদার আওয়ামীলীগ মন্দির ও হিন্দু নির্যাতনসহ নানা অপপ্রচারে তা বিনষ্ট করতে চাইছে। ভারত আগ্রাসী মনোভাবে চোখ রাঙানী দিয়ে বাংলাদেশের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক দেখাচ্ছে। তা অবশ্যই নিন্দনীয়। তিনি শনিবার ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব হলরুমে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথাগুলো বলেন। মাহিদুর রহমান আরও বলেন, মঈন উদ্দিন ও ফখর উদ্দিন ছিলেন স্বৈচার শেখ হাসিনার দোসর। তারা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ক্ষমতায় এসেছিলো। দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতি ধ্বংস করতে। এই ১৫-১৭ বছর মানুষের বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার, গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মৌলিক অধিকার ছিলোনা। রাজনীতিবীদরা সাংবিধানিকভাবে রাজনীতির চর্চা করতে পারেননি। এটার পেছনে শক্তিশালী ভূমিকায় ছিলো ভারত।
মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের আহবায়ক বকশী ইকবাল আহমদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শেখ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ এর সঞ্চালনায় দেশের চলমান প্রেক্ষাপট ও মৌলভীবাজারের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক এস এম উমেদ আলী, আজাদুর রহমান আজাদ, বকশী মিছবাহ উর রহমান, সৈয়দ হুমায়েদ আলী শাহিন, আহমদ ফারুক মিল্লাদ, মু. ইমাদ উদ দীন, এম এ হামিদ, মো. শাহাজান মিয়া, মাহবুবুর রহমান রাহেল, সৈয়দ মমসাদ আহমদ, মোক্তাদির হোসেন, মো. সালাউদ্দিন, আলী হোসেন রাজন প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও চব্বিশের ২য় স্বাধীনতায় নিহতদের স্মরনে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।