সুবর্ণচরে ২ হাজার কৃষক পেলেন রবিসশ্য প্রণোদনা
মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালী জেলার শস্যভান্ডার খ্যাতি অর্জন করা সুবর্ণচর উপজেলায় আবারো ২ হাজার কৃষক পেলেন রবিশস্য প্রণোদনা।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হল রুমে এই প্রণোদনা কর্মসূচির কার্যক্রম শুরু হয়।
সুবর্ণচর উপজেলায় সয়াবিন ও চিনাবাদাম ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুবর্ণচর নোয়াখালীর উদ্যোগে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রবি/২০২৪-২৫ মৌসুমে প্রথম পর্যায়ে ১০০০ জন সয়াবিন চাষীকে সয়াবিন ফসল আবাদের জন্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এরপর ২য় পর্যায়ে ১০০০ জন চিনাবাদাম চাষীকে চিনাবাদাম চাষের জন্য বীজ ও সার তুলে দিয়েছেন কর্মকর্তারা।
উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ হারুন অর রশিদ এর সভাপতিত্বে উক্ত বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সুরাইয়া আক্তার লাকী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সুবর্ণচর নোয়াখালী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ফখরুল ইসলাম, পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের কর্মরত ডাক্তার মোঃ রিয়াদ হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ফরহাদ হোসেন। এছাড়াও সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মনোরঞ্জন রায়, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বৃন্দ, স্থানীয় সাংবাদিক বৃন্দ, কৃষি অফিসের অন্যান্য কর্মচারি বৃন্দ ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত উপকারভোগী কৃষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত কর্মসূচির আওতায় প্রতিজন কৃষক সয়াবিন ফসল চাষের জন্য ৮ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি এমওপি সার পেয়েছেন। এরপর চিনাবাদাম চাষের জন্য প্রতিজন কৃষক ১০ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার, ৫ কেজি এমওপি সার পেয়েছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হারুন অর রশিদ জানান, সুবর্ণচরে কৃষকের স্বার্থে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ। প্রতিনিয়ত মাঠে থেকে কৃষকের স্বার্থে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছেন। পরামর্শ দিচ্ছেন ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে। অভিযোগ থাকলে কৃষকের ফসলি আবাদকৃত জমি পরিদর্শন নিয়মিত কর্মকর্তারা।