শনিবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে নিজের সঙ্গে ‘সৎ’ থাকতে চান মেসি

২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে নিজের সঙ্গে ‘সৎ’ থাকতে চান মেসি

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : আর্জেন্টিনার ফুটবলপ্রেমীদের মনে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—লিওনেল মেসিকে কি আমরা ২০২৬ বিশ্বকাপে দেখতে পাব? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও অনিশ্চিত। যদিও মেসি নিজেই বলেছেন, তিনি প্রতিদিন ধরে ধরে এগোতে চান, সিদ্ধান্ত নেবেন সময় বুঝে।

গত বছর ইতালিয়ান সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেছিলেন, এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলতে চান না। ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত যেতে হলে সময়কে গুরুত্ব দিয়ে, ধাপে ধাপে এগোতে হবে।

আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনিও মার্চে এক বক্তব্যে বলেন, “দেখা যাক কী হয়, এখনও সময় আছে। সিদ্ধান্তটা মেসিকেই নিতে হবে।”

সম্প্রতি কিকে উলফের ইউটিউব টকশোতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি আরও খোলামেলা কথা বলেন। তিনি জানান, “২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে সিদ্ধান্তটা অনেকটাই নির্ভর করছে এ বছরের পারফরম্যান্স, ফর্ম ও শারীরিক অবস্থার ওপর। অবশ্যই বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছি, কিন্তু আমাকে নিজের সঙ্গে সৎ থাকতে হবে। আমি জানি না সেদিন আমি সেই জায়গায় থাকব কি না।”

মেসি বলেন, এখন আর নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য স্থির করতে চান না, বরং ফিটনেস ও খেলার প্রতি আগ্রহই তার মূল মাপকাঠি। “২০২২ বিশ্বকাপ জয় ছিল স্বপ্নপূরণ। এর চেয়ে বেশি কিছু চাওয়ার কিছু ছিল না। সব অর্জন করেছি আমি,”—বলেছেন মেসি।

২০১৪ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা ফাইনালে উঠেও জার্মানির কাছে হারে। সে প্রসঙ্গে মেসি বলেন, “হারটা যন্ত্রণাদায়ক ছিল, তবে পরে বিশ্বকাপ জেতায় সেই বেদনা অনেকটাই প্রশমিত হয়েছে।”

সাক্ষাৎকারে আরও একটি বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন মেসি—টাইব্রেকারে পেনাল্টির সময় সবসময় তিনি কেন প্রথম শট নেন। মেসির কথায়, “দায়িত্ব নিতে আমি ভয় পাই না। শুরুতেই নিজের কাঁধে দায়িত্ব নিতে পছন্দ করি।”

বার্সেলোনায় ২১ বছর কাটিয়ে ২০২১ সালে পিএসজিতে যোগ দেন মেসি। এরপর ২০২3 সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার মায়ামিতে পাড়ি জমান। পিএসজি অধ্যায় নিয়ে মেসির মন্তব্য, “চেয়েছিলাম বার্সায় ফিরতে, কিন্তু সম্ভব হয়নি। এরপর এমএলএসে খেলার সিদ্ধান্তটা ছিল পারিবারিক। ইউরোপে অন্য কোনো ক্লাবে খেলার কথা মাথায়ই আসেনি।”

মেসি বলেন, “প্যারিসে থাকাটা পরিবারের জন্য ভালো ছিল, কিন্তু আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হচ্ছে, প্রতিদিনের অনুশীলন, জীবনযাপনে সেটা উপভোগ করতে পারিনি। মায়ামিতে আমি আবার ফুটবলটা উপভোগ করতে পারছি।”

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন