১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থী ফেল, যা জানা যাচ্ছে


মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে রেকর্ড ২০ হাজার ৬৮৮ জন প্রার্থী ফেল করেছেন। বুধবার বিকেল ৫টার পর এ ফলাফল প্রকাশিত হয়।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) একটি সূত্র জানিয়েছে, অন্যান্য নিবন্ধনের তুলনায় এবার মৌখিক পরীক্ষা তুলনামূলক কঠিন হয়েছে। পাস ফেলের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের মধ্যে ন্যূনতম যোগ্যতা রয়েছে কি না সে বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ৩৫ ঊর্ধ্বদের বাদ দেওয়ায় এবার ফেলের সংখ্যা বেশি।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে সংস্থাটির একজন কর্মকর্তা জানান, ‘মৌখিক পরীক্ষায় অনেকেই খুব সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি। যাদের মধ্যে ন্যূনতম সাধারণ জ্ঞান ছিল না, মূলত তাদেরই পরীক্ষায় ফেল করা করানো হয়েছে। কেননা এই প্রার্থীরা শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করাতে পারবেন না বলেই মনে করেছে বোর্ড।
১৮তম নিবন্ধনে ৩৫ ঊর্ধ্বদের ফেল করানো প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। এমন কোনো সিদ্ধান্ত হলে সেটি নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে নেওয়া হয়ে থাকতে পারে।’
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল থেকে ৩৫ ঊর্ধ্বদের বাদ দেওয়ার বিষয়টি একাধিক প্রার্থী দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন। তারা বলছেন, মৌখিক পরীক্ষায় ভালো করলেও কেবলমাত্র বয়সজনিত কারণে তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।
জমির নামে ৩৫ ঊর্ধ্ব এক প্রার্থী জানান, ‘আমি মৌখিক পরীক্ষায় সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলাম। তবে আমার ফেল এসেছে। আমার মতো এমন অনেক প্রার্থী রয়েছে, যারা লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় ভালো করলেও তাদের ফেল এসেছে। যদি ফেলই করানো হবে, তাহলে মৌখিক পরীক্ষা কেন নেওয়া হলো?
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১২ ও ১৩ জুলাই অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে ৮১ হাজার ২০৯ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে চূড়ান্ত ভাবে ৬০ হাজার ৫২১ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। এ নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ১৯ লাখ প্রার্থী আবেদন করেছিলেন।