নোয়াখালীতে পুলিশের চৌকস একটি টিমের নেতৃত্বে লাখ টাকাসহ ২ ডাকাত সদস্য আটক
আটককৃত আসামিরা হলো, লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলার বড়খেড়ী গ্রামের ফরিদ বেপারীর ছেলে ওয়াহিন উদ্দিন রানা ওরফে কালা মিয়া (৩১ একই উপজেলার চরলক্ষী গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে মো.রুবেল (৩০)।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকেলে আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে, গতকাল সোমবার সকালের দিকে চট্রগ্রামের কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালীল পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম। তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, গত শনিবার ১৮ মার্চ লক্ষীপুর জেলার সবজি ব্যবসায়ী মনির উদ্দিন (৪৫) স্থানীয় চাষীদের থেকে ১০ টন ঢেঁড়শ ক্রয় করে। এরপর ট্রাক বোঝাই করে ঢাকা শহরে কারওয়ান বাজারের পাইকারী সবজি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে একই দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হাতিয়া উপজেলার বয়ারচর রুহুল আমিন মার্কেটের সামনে থেকে রওয়ানা দেয়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢেঁড়শ বোঝাই ট্রাকটি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাইমুড়ী হাইওয়ে রোডের বগাদিয়া গ্রামের চেরাং বাড়ির সামনে পৌঁছালে ডাকাত চক্র তাদের ট্রাকের গতিরোধ করে। একপর্যায়ে অস্ত্রের মুখে ট্রাক চালক ও হেলপারের কাছ থেকে নগদ টাকাও মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে ট্রাক বোঝাই ১০ টন ঢেঁড়শ ট্রাকসহ ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
পুলিশ সুপার আরো জানায়, গতকাল সোমবার সকালে তথ্য প্রযুক্তি ও গুপ্তচরের মাধ্যমে আসামিদের সনাক্ত করে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় সোনাইমুড়ী থানার পুলিশ ২ডাকাতকে গ্রেফতার করে। ওই সময় তাদের হেফাজত ও স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঢেঁড়শ বিক্রির ১ লাখ ৪৬ টাকা এবং ছিনতাইকৃত ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়।