মঙ্গলবার, ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

বৈদ্যুতিক ক্যাবলসে স্বয়ংসম্পূর্ণতার পথে বাংলাদেশ

বৈদ্যুতিক ক্যাবলসে স্বয়ংসম্পূর্ণতার পথে বাংলাদেশ

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক :

সরকার বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য ওভারহেড কন্ডাক্টরের পরিবর্তে আন্ডারগ্রাউন্ড বা মিডিয়াম ভোল্টেজ ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওভারহেড কন্ডাক্টর অপসারণ করে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল প্রতিস্থাপন। ফলে পুরো বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য ব্যাপকহারে মিডিয়াম ভোল্টেজ ক্যাবলের প্রয়োজন পড়বে। বাংলাদেশের গুটিকয়েক কোম্পানি এই মুহূর্তে মিডিয়াম ভোল্টেজ ক্যাবল উৎপাদন করছে। জোগান দিচ্ছে মোট ব্যবহারের ২০ শতাংশ। বাকি ৮০ শতাংশ চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। এ প্রেক্ষাপটে প্রায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে মিডিয়াম ভোল্টেজ ক্যাবল উৎপাদন শুরু করেছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। এখন দেশে যে পরিমাণ আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল প্রয়োজন তার পুরোটাই দেশীয় কোম্পানির উৎপাদন থেকে জোগান দেওয়া সম্ভব। দেশের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ক্যাবলস ব্যবসা সম্প্রসারণে এই বিপুল বিনিয়োগ করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ প্রাণ-আরএফএল। মিডিয়াম ভোল্টেজ বা হাই টেনশন (এইচটি) ক্যাবল তৈরি করতে হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে আরএফএল এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এক লাখ ২০ হাজার স্কয়ার ফুটের একটি আলাদা কারখানা তৈরি করেছে। আরএফএল উৎপাদিত ক্যাবলস বাজারে ‘বিজলী ক্যাবলস’ নামে বাজারজাত করা হয়। ওভারহেড কন্ডাক্টর অপসারণ করে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল প্রতিস্থাপন শুরু করেছে বাংলাদেশ। এতে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য ব্যাপকহারে মিডিয়াম ভোল্টেজ ক্যাবলের প্রয়োজন পড়বে। বর্তমানে এর বার্ষিক বাজার প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। দেশে বিআরবি, বিবিএস ও পারটেক্সসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানি মিডিয়াম ভোল্টেজ ক্যাবল উৎপাদন করছে। আমদানিনির্ভরতা কমাতে মিডিয়াম ভোল্টেজ ক্যাবল উৎপাদন শুরু করা রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানার হাই টেনশন ক্যাবলের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা চার হাজার মেট্রিক টন। এ নতুন বিনিয়োগের ফলে বাড়তি দুইশ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। বিজলী ক্যাবলসের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৫ শতাংশ। হবিগঞ্জের প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে অবস্থিত রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নিজস্ব কারখানায় এসব ক্যাবল উৎপাদিত হয়। বর্তমানে চারটি উৎপাদন কারখানা রয়েছে। এসবের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ২৬ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। বিজলী ক্যাবলসে বর্তমানে এক হাজার জন কর্মরত। শুধু মিডিয়াম ভোল্টেজ ক্যাবল নয়, অতি সম্প্রতি এইচডিএমআই (হাই-ডেফিনেশন মাল্টিমিডিয়া ইন্টারফেস) ও ইউএসবি (ইউনিভার্সাল সিরিয়াল বাস) ক্যাবল বাজারে এনেছে বিজলী ক্যাবলস। মোবাইল চার্জার, ডাটা ট্রান্সফারসহ নানা কাজে এইচডিএমআই ও ইউএসবি ক্যাবল ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে এ দুটি ক্যাবলসের বার্ষিক বাজার প্রায় আড়াশ কোটি টাকা, যার অধিকাংশ আমদানিনির্ভর। মূলত আমদানিনির্ভরতা কমাতে এ দুটি পণ্য বাজারে এনেছে আরএফএল। আশা করা হচ্ছে, এ দুটি পণ্য ভোক্তাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে এইচডিএমআই ও ইউএসবি ক্যাবলসের বাজার শেয়ারের বড় অংশ দখল করতে চায় বিজলী ক্যাবলস। রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (অ্যাডমিন) মো. আবুল বাশার জাগো নিউজকে বলেন, দেশের সাধারণ ভোক্তার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত পিডিবি, আরইবি, ডেসকো, নেসকো, ডিপিডিসি, ইইডি, পিডব্লিউডিসহ বাংলাদেশ সরকারের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোতেও বিজলী ক্যাবলস সরবরাহ করা হচ্ছে। এখন ক্যাবলস উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। প্রয়োজনীয় সব ধরনের ক্যাবলস জোগান দিতে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোই যথেষ্ট। এরপরও সরকারি প্রকল্পসহ নানা জায়গায় এখনো আমদানি করা ক্যাবলস ব্যবহার করা হচ্ছে। সরকারি প্রকল্পে যাতে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের ক্যাবলস ব্যবহার করা হয়, সে উদ্যোগ নিতে হবে। ফলে কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা অনেক সাশ্রয় হবে। বিজলী ক্যাবলসে কপারগুলোর কন্ডাক্টিভিটি ১০১ শতাংশ, ফলে সঠিক মাত্রায় বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়। বিদ্যুৎ বিল আসে কম। তাছাড়া উৎপাদিত পণ্যের মান ও আনুষঙ্গিক পরীক্ষার জন্য রয়েছে অত্যন্ত অভিজাত ল্যাবরেটরি। তিনি বলেন, ২০২১ সালে রপ্তানি শুরু করা বিজলী ক্যাবলস বর্তমানে ভারতে রপ্তানি হচ্ছে। ভবিষ্যতে আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশে রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে। সরকার রপ্তানির সব ক্ষেত্রে প্রণোদনা দেয়। সম্ভাবনাময় এ ক্যাবলসের ক্ষেত্রেও প্রণোদনা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদ্যুতের চাহিদা ও উৎপাদন বাড়ার কারণে বৈদ্যুতিক ক্যাবলসের বাজারও বাড়ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক ক্যাবলসের মোট বাজার প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। ১০ বছর আগে ক্যাবলসের মোট বাজার ছিল আনুমানিক দুই হাজার কোটি টাকা, বার্ষিক প্রবৃদ্ধি প্রায় ২০ শতাংশ। দেশে ব্যবহৃত ক্যাবলসের প্রায় ৪০ শতাংশ ডমেস্টিক কার্যক্রমে ব্যবহার করা হয়, ৬০ শতাংশ ব্যবহার করা হয় প্রাতিষ্ঠানিক কর্মকাণ্ডে। বাজারে নানা ধরনের ক্যাবলস পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রিক ক্যাবল, সুপার অ্যানামেল ওয়্যার, ফাইবার অপটিক ক্যাবল ও কমিউনিকেশন ক্যাবল। পাওয়ার ক্যাবলের (ইলেকট্রিক ক্যাবলের আওতাধীন) চাহিদা সবচেয়ে বেশি। বাজার চাহিদার প্রায় ৯০ শতাংশই পাওয়ার ক্যাবল। শতভাগ বিদ্যুতায়ন, মানুষের জীবনমান বৃদ্ধি, বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ নানা কারণে ক্যাবলসের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। খাতসংশ্লিষ্টদের মতে, এ খাতে দেশে আনুমানিক ১০ হাজার কোটি টাকার মতো বিনিয়োগ হয়েছে। কর্মসংস্থান প্রায় ৫০ হাজার। বর্তমানে ছোট-বড় প্রায় ১২০টি কোম্পানি ক্যাবল উৎপাদনে জড়িত।

সরকার বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য ওভারহেড কন্ডাক্টরের পরিবর্তে আন্ডারগ্রাউন্ড বা মিডিয়াম ভোল্টেজ ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে

বাংলাদেশের ক্যাবলসের বাজারে শীর্ষস্থানে বিআরবি ক্যাবল। এরপরে বিজলী ক্যাবলস ও বিবিএস ক্যাবলস। এছাড়া উল্লেখযোগ্য কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- পারটেক্স ক্যাবলস, এসকিউ, ইস্টার্ন ক্যাবলস, সিটিজেন ক্যাবলস, পলি ক্যাবলস ও ওয়ালটন।

বড় বাধা ক্যাবলসের কাঁচামালের উচ্চ শুল্কহার

বর্তমানে বাংলাদেশের ক্যাবলস শিল্পের বিকাশে অন্যতম বড় বাধা কাঁচামালের উচ্চ শুল্কহার। বাংলাদেশের ক্যাবলস শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামালের প্রায় শতভাগ আমদানিনির্ভর। কাঁচামালের মধ্যে অন্যতম কপার, অ্যালুমিনিয়াম, স্টিল, রেজিন, ক্যালসিয়াম ও স্ট্যাবিলাইজার। এসবের আমদানি শুল্ক গড়ে প্রায় ৪০ শতাংশ, অন্যদিকে ক্যাবলস আমদানি করলে গড়ে শুল্ক দিতে হয় ৪৫ শতাংশ। ফলে আমাদের স্থানীয় শিল্প যেভাবে বিকাশ হওয়া প্রয়োজন সেভাবে বিকশিত হচ্ছে না। ক্যাবলস প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, স্থানীয় শিল্প সুরক্ষা দিতে একদিকে যেমন এর কাঁচামালের শুল্ক কমাতে হবে, অন্যদিকে ক্যাবলস আমদানির ওপর উচ্চহারে শুল্ক আরোপ করতে হবে। আমাদের স্থানীয় ক্যাবলস শিল্পের ব্যাপক সক্ষমতা রয়েছে। সক্ষমতা রয়েছে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্ববাজারে রপ্তানি করার। দেশীয় উৎপাদনকারীরা এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারছে না কাঁচামালের উচ্চ শুল্কহারের ফলে। কারণ তারা প্রতিযোগিতামূলক দামে অন্য দেশের মতো পণ্য সরবরাহ করতে পারছে না। তাছাড়া রপ্তানির সুযোগ কাজে লাগাতে সরকারকে অবশ্যই অন্য পণ্যের মতো রপ্তানিতে নগদ সহায়তা দিতে হবে। এ খাত বিকাশে অন্যতম বাধা দক্ষ জনবল। দক্ষ জনবল তৈরিতে সরকার সহায়তা করতে পারে। সেক্ষেত্রে একদিকে যেমন নতুন বিনিয়োগ আসবে, অন্যদিকে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

সরকার বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য ওভারহেড কন্ডাক্টরের পরিবর্তে আন্ডারগ্রাউন্ড বা মিডিয়াম ভোল্টেজ ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে

পরিবেশবান্ধব ক্যাবলস উৎপাদনে বিজলী

ক্রমবর্ধমান চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে ডমেস্টিক ক্যাবল উৎপাদনের মাধ্যমে বিজলী ক্যাবলস যাত্রা শুরু করে। ভোক্তাদের প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে ভালোমানের পণ্য দেওয়াই প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য। বর্তমানে বিজলীর পাওয়ার ক্যাবল, কমিউনিকেশন ক্যাবল, অ্যানামেল ওয়্যার, কপার স্ট্রিপ, অপটিক্যাল ফাইবার ও ফায়ার রেজিস্ট্যান্স ক্যাবলসহ দশ শ্রেণির ক্যাবল রয়েছে। এর মধ্যে পাওয়ার ক্যাবলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এ পর্যন্ত বিজলী ক্যাবলস প্রায় ২২০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। ডমেস্টিক ক্যাবল কয়েলপ্রতি দাম এক হাজার ২৬৫ থেকে ৪৭ হাজার ৫শ টাকা। অন্যদিকে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্যাবল মিটারপ্রতি দাম এক হাজার ৫শ থেকে ৩০ হাজার ২শ টাকা। বিজলী ক্যাবলসের কর্মকর্তারা জানান, বিজলী ক্যাবলস নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে পরিবেশবান্ধব ক্যাবলস উৎপাদন করছে। অত্যাধুনিক ইউরোপীয় প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করে ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ বিশুদ্ধ কপার দিয়ে উৎপাদন করা হয় বিজলী ক্যাবলস। স্পেক্ট্রোমিটার যন্ত্রের মাধ্যমে এর কপারের বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করা হয়। তাছাড়া নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করা হয় এটিও সমৃদ্ধ অগ্নিপ্রতিবন্ধক পিভিসি ইনসুলেশন। বিজলী ক্যাবলসে কপারগুলোর কন্ডাক্টিভিটি ১০১ শতাংশ, ফলে সঠিক মাত্রায় বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়। বিদ্যুৎ বিল আসে কম। তাছাড়া উৎপাদিত পণ্যের মান ও আনুষঙ্গিক পরীক্ষার জন্য রয়েছে অত্যন্ত অভিজাত ল্যাবরেটরি। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিজলী ক্যাবলসের ১৬১টি শোরুম হয়েছে। এছাড়া অনুমোদিত ডিলারের মাধ্যমে সারাদেশে পাওয়া যায় বিজলী ক্যাবলস। ভবিষ্যতে রাবার ইনসুলেটেড ক্যাবল, বাসবার, ক্যাবল লাক্স, অ্যালুমিনিয়াম সুপার ও এক্সট্রা হাইভোল্টেজ ক্যাবল বাজারে আনার পরিকল্পনা রয়েছে বিজলীর। এর পাশাপাশি নানা ধরনের ক্যাবল এক্সেসরিজও বাজারে আনবে প্রতিষ্ঠানটি।

সরকার বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য ওভারহেড কন্ডাক্টরের পরিবর্তে আন্ডারগ্রাউন্ড বা মিডিয়াম ভোল্টেজ ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে

সার্বিক বিষয়ে আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আর এন পাল জাগো নিউজকে বলেন, ‘ক্যাবলের চাহিদা অনেক বেশি, কিন্তু অ্যাফোর্ট করার মতো ক্ষমতা কিন্তু নেই। দুটি জায়গায় অ্যাফোর্ট করা যাবে না। একটি হলো বাজেট, কারণ সব বাজেট তো আর আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবলে দেওয়া যাবে না। সুতরাং, বিদ্যুৎখাতে ওভারহেড কন্ডাক্টর অপসারণ করে আন্ডারগ্রাউন্ডে নেওয়ার জন্য যে বাজেট সেটি পর্যাপ্ত নয়। তবে যতটুকু বাজেট আছে সে অনুযায়ী আমরা উৎপাদন করতে পারি। দ্বিতীয়ত, চাইলেই ঢাকার সব রাস্তা কেটে এটি করতে পারবেন না। ফলে এই দুটি বিষয় বিবেচনা করলে আমাদের (বিজলী ক্যাবলস) উৎপাদন সক্ষমতা চাহিদার চেয়ে বেশি। আমাদের ক্যাবলস দামের ক্ষেত্রেও অনেকটা সাশ্রয়ী। আমরা ইম্পোর্ট করে যে ক্যাবলটা আনব তার চেয়ে অবশ্যই মিনিমাম ১০ শতাংশ সাশ্রয়ী হবে।

সরকার বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য ওভারহেড কন্ডাক্টরের পরিবর্তে আন্ডারগ্রাউন্ড বা মিডিয়াম ভোল্টেজ ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে

তিনি বলেন, বিজলী ক্যাবলসের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৫ শতাংশ। হবিগঞ্জের প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে অবস্থিত রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নিজস্ব কারখানায় এসব ক্যাবল উৎপাদিত হয়। বর্তমানে চারটি উৎপাদন কারখানা রয়েছে। এসবের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ২৬ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। এর মধ্যে বর্তমানে ব্যবহার হয় প্রায় ১৫ হাজার মেট্রিক টন। বিজলী ক্যাবলসে বর্তমানে এক হাজার জন কর্মরত।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন