সোমবার, ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য ৫২ আবেদন

ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য ৫২ আবেদন

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : ডিজিটাল ব্যাংক গঠনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে আবেদন জমা পড়েছে ৫২টি। আবেদনকারীদের মধ্যে ব্যাংক, ফিনটেক ফার্মসহ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। জানা গেছে, ‘ডিজি টেন পিএলসি’ নামে ১০ ব্যাংকের জোট ডিজিটাল ব্যাংকে বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। এই ১০টি ব্যাংক সব মিলিয়ে ১২৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা বিনিয়োগের কথা জানিয়েছে। এই জোটে রয়েছে সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ণ ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। এ ছাড়া প্রস্তাবিত ‘বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক’- এর সঙ্গে বর্তমান উদ্যোক্তা ব্র্যাক ব্যাংকের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ‘মানি ইন মোশন এলএলসি, ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন, অ্যান্ট গ্রুপ ও সফটব্যাংক ভিশন ফান্ড। ‘নগদ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি’ গঠনের জন্যও আবেদন করেছে নগদের বর্তমান ও অন্যান্য কিছু উদ্যোক্তা। এ ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত তিন বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালী, রূপালী, অগ্রণী মিলে জোটবদ্ধভাবে ডিজিটাল ব্যাংক গঠনের আবেদন করেছে। মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংক ও তাদের মূল কোম্পানি ভিওন মিলে ডিজিটাল ব্যাংক গঠনের আবেদন জমা দিয়েছে। বেসরকারি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী কোম্পানি উপায়ের নেতৃত্বে একটি জোট আবেদন করেছে। তার নাম ঠিক করা হয়েছে ‘উপায় ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি’। এই জোটে আছে বেসরকারি ব্যাংক এনআরবিসি ও মেঘনা। এর সঙ্গে রয়েছে ইউসিবির উদ্যোক্তাদের কোম্পানি আরামিট, যারা মূলত ঢেউ শিট উৎপাদন করে। এই জোটে আরও আছে ইউসিবির উদ্যোক্তাদের কোম্পানি নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদানকারী কোম্পানি জেনেক্স ইনফোসিস। জেনেক্স ইনফোসিস হলো এনআরবিসির কয়েকজন উদ্যোক্তার কোম্পানি। এ ছাড়া ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান পাঠাও ডিজিটাল ব্যাংক করার আগ্রহ দেখিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ‘পাঠাও ডিজিটাল ব্যাংক’ নামে এ ব্যাংক করতে চায়। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন পেলে তাতে অনেক তরুণ উপকৃত হবে। এর আগে চলতি বছরের ২১ জুন ডিজিটাল ব্যাংক গঠনে আগ্রহী উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ১ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। পরে আবেদনের সময় বাড়িয়ে ১৭ আগস্ট করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইনে বলা হয়েছে, ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনে ইচ্ছুকদের ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন ১২৫ কোটি টাকা এবং মূলধন স্পন্সরদের কাছ থেকে আসতে হবে। প্রত্যেক স্পন্সরের ন্যূনতম হোল্ডিং শেয়ার হবে ৫০ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ডিজিটাল ব্যাংকগুলো ফিজিক্যাল কাউন্টারের মাধ্যমে সরাসরি গ্রাহকদের কোনো সেবা দিতে পারবে না এবং কোনো ফিজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট ইস্যু করতে পারবে না।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন