শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

ফুলবাড়ীতে কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ১শত ৫০বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ॥

ফুলবাড়ীতে কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ১শত ৫০বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ॥

মোঃ আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরে ফুলবাড়ীতে সরকারি প্রণোদনা ও উপজেলা কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানে ১৫০ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ শুরু করেছেন ১৫০ জন কৃষক। পেঁয়াজ আমাদের দৈনন্দন জীবনে খাবার তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।
আর সেই পেঁয়াজের দাম যদি হয় আকাশ ছোঁয়া সেেেত্র বিপাকে পড়ে যায় নিম্ন আয়ের মানুষেরা।দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি থাকায় এবছর পেঁয়াজের দাম ছুয়েছে ২শত ৫০থেকে ৩শত টাকায়।যা নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় মতার বাইরে ছিল। সরকার কৃষি াতে ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছেন।যাতে করে পেঁয়াজ চাষের উপর ঝুকে পড়ে কৃষকরা।তারই ধারাবাহিকতায় অত্র উপজেলার পৌরসভার সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ১৫০ জন কৃষক ১৫০ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের চাষ শুরু করেছেন। সম্পূর্ণভাবে সরকারি প্রনোদনায় ও কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানে এই পিয়াজ চাষ হচ্ছে।
পিয়াজ চাষের বিষয়ে কথা হয় ফুলবাড়ী পৌর এলাকার চকচকা গ্রামের কৃষক মমিনুল ইসলামের সঙ্গে।তিনি জানান, কৃষি অফিস থেকে ৩৩ শতক জায়গায় পেঁয়াজ চাষের জন্য বীজ,সার,বালাইনাশক, পলিথিন,নায়লনের সুতলি এবং চাষাবাদের খরচ বাবদ বিকাশের মাধ্যমে ২৮০০ টাকা পেয়েছি।কৃষি অফিসের লোকজন সবসময় খোঁজখবর নেন।আশা করি পেয়াজ চাষ করে লাভের মুখ দেখবো। একইভাবে দণি কৃষ্ণপুর এলাকার কৃষক আলমগীর হোসেন জানালেন,আমার শুধু জমি বাকি সব কিছু কৃষি অফিস থেকে পেয়েছি। বীজ,সার,বালাইনাশক,পলিথিন, নায়লনের সুতলি এবং চাষাবাদের খরচ বাবদ বিকাশের মাধ্যমে ২৮০০ টাকা। আমি সরকারের দেয়া সহযোগিতায় পেঁয়াজ চাষ করে আশা করি লাভবান হবো।
এ বিষয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার জানান, ফুলবাড়ী উপজেলার ১৫০ জন কৃষককে পেঁয়াজ চাষের জন্য সরকারি প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। ১৫০ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ শুরু করেছে কৃষকরা। বীজ তৈরির কাজ শেষ করে এখন জমিতে পেঁয়াজ রোপন এর কাজ চলছে। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা সব সময় কৃষকদের পাশে রয়েছেন এবং পেঁয়াজ চাষের তদারকি করছেন।জেলা থেকে উদ্বোধন কর্মকর্তারাও স্বশরীরে এসে কৃষকদের জমিতে গিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।আমরা সব সময় কৃষকদের পাশে থেকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আশা করি এবছর ফলন বেশ ভালো হবে।এবছর ১৫০ বিঘা জমিতে আনুমানিক ৩ শত টন পেঁয়াজ উৎপাদন হবে বলে আশা করছি। তিনি আরো জানান,ফুলবাড়ীর পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নের প্রকৃত কৃষকদের বাছাই করে পেঁয়াজ চাষের এই প্রনোদনা দেয়া হয়েছে।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন