রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

তিস্তার পানি এখনো বিপৎসীমার ওপরে

তিস্তার পানি এখনো বিপৎসীমার ওপরে

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : কুড়িগ্রামে সবকটি নদ-নদীর পানি কিছুটা কমলেও এখনও তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকেল ৩টায় স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দুধকুমার নদের পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে চিলমারী পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এসব নদীর পানি ক্রমেই আরো বাড়ছে যা খুব দ্রুত বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে কুড়িগ্রামে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অপরিবর্তিত রয়েছে। নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর ভাটিতে বিশেষ করে চরাঞ্চলের অনেকের বাড়ি ঘরে পানি থাকায় কষ্টে দিনাতিপাত করছে। কাঁচা সড়কে পানি উঠে সেখানকার বাসিন্দাদের চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। কেউ কেউ কলার গাছের ভেলায় চড়ে বাড়িতে আসা যাওয়া করছে। এ অবস্থায় বন্যা কবলিত মানুষজনের দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। এছাড়াও দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানি সংকট ও গবাদি পশু খাদ্য সংকট। নিচু জমির সদ্য রোপনকৃত আমন খেতের অনেক এলাকায় নিমজ্জিত হওয়ায় কৃষকরা পড়েছেন বিপাকে। দু-দুবার আমন বীজতলাসহ আমনের খেত তলিয়ে যাওয়ায় এবার ক্ষতি হয়ে গেলে কিভাবে কোথা থেকে আমনের বীজ সংগ্রহ করে রোপন করবেন তানিয়ে দেখা দিয়েছে কৃষকদের সংশয়। চরম ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষকরা। এদিকে, নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুর ও রাজারহাট উপজেলার নদী তীরবর্তী বেশ কিছু স্থান। এ পর্যন্ত জেলার ৪০টি পয়েন্টে নদী ভাঙন চলছে বলে স্থানীয় পাউবো জানায়। তবে বালুর বস্তা কিংবা জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধে সর্বদা চেষ্টা করছে জেলা পাউবো। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাঈদুল আরীফ জানান, চলতি বন্যায় গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলায় ১০৭ মেট্রিক টন চাল, দেড় হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, নগদ সাড়ে ৬ লাখ টাকা বন্যা কবলিত এলাকার মানুষদের জন্য বরাদ্দ পেয়ে তা প্রদানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন