বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

৩টি পণ্যের দাম শক্তভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে : বাণিজ্যমন্ত্রী

৩টি পণ্যের দাম শক্তভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে : বাণিজ্যমন্ত্রী

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বেঁধে দেওয়া পেঁয়াজ, আলু, ডিমসহ তিনটি কৃষি পণ্যের দাম শক্তভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। ভোক্তা অধিকারের যথেষ্ট পরিমাণ লোকের অভাব রয়েছে। এরপরেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা শক্ত অবস্থানে রয়েছি। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া দাম ঠিক করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আজ শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা থেকে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডে বাসভবনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, আমরা সবাই মিলে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। আমাদের বিশাল বাজার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের গোলের কিছুটা ঘাটতি থাকতে পারে। সেটি কাভার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সুবিধা নিচ্ছেন। মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে সব সময় ব্যবসায়ীদের যে চাপে রাখা যায়, তা কিন্তু নয়। আমরা বাজার নিয়ন্ত্রণে এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে খাবার দিচ্ছি। দেশে উৎপাদিত ডিম ও আলুর দাম নির্ধারণ নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যখন যে পণ্যের মজুদ কমে যায় তখন সেই পণ্যের দাম নির্ধারণ করে সরকার। সেটা দেশি বা বিদেশি পণ্য হতে পারে। তিন পণ্যের বেঁধে দেওয়া দাম কার্যকর হবে। এখন থেকে খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম হবে সর্বোচ্চ ১২ টাকা, প্রতি কেজি আলু ৩৬ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা। কোনো কারণ ছাড়াই বাজারে অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্যও রয়েছে। এখন ন্যায্য দাম কার্যকর হবে। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন মনিটরিং করার। সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে তা যেন ঠিক থাকে। আমরা মনে করি না যে, ঘাটতি আছে। কারণ সরকারের হাত অনেক লম্বা। আমরা শক্তহাতেই ব্যাপারটা দেখব। এদিকে দুর্গাপূজায় ভারতে ইলিশ রপ্তানির প্রসঙ্গে টিপু মুনশি বলেন, আমরা তো সারা বছর ইলিশ রপ্তানি করি না। দুর্গাপূজার সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বাঙালিদের জন্য শুভেচ্ছা হিসেবে সামান্য কিছু পাঠানো হয়।তিনি বলেন, সারাবছর আমাদের যে পরিমাণ ইলিশ হয় তার থেকে মাত্র দুই শতাংশ ভারতে দেওয়ার চেষ্টা করি। মাছ রপ্তানির কোনো চিন্তা নেই। এটাকে রপ্তানি বলা যাবে না। শুভেচ্ছা টোকেন হিসেবে দেওয়া হয়। বছরে ছল লাখ টন ইলিশ ধরা হয়। সেখান থেকে ৪-৫ হাজার টনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। যা আমাদের দুই দিনের উৎপাদনও নয়। দুই দিনের সফরে শুক্রবার সকালে রংপুরে আসেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন