শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, যার রেজি নং-৩৬)

বিরামপুরে মারামারির ঘটনায় গ্রাম্য সালিশী বৈঠকে ছুরিকাঘাতে নিহত-১

বিরামপুরে মারামারির ঘটনায় গ্রাম্য সালিশী বৈঠকে ছুরিকাঘাতে নিহত-১

 বিরামপুর সংবাদাতা: দিনাজপুরের বিরামপুরে খাঁনপুর ইউনিয়নের গ্রাম্য শালিসি বৈঠকে মারামরির ঘটনায় ১ জন নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছে। আহতরা আসামী হওয়ায় পুলিশ হেফাজতে তাদের চিকিৎসা নেওয়ার খবর পাওয়া যায়।

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার আনুমানিক রাত সাড়ে ৯ ঘটিকার সময় বিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের খোশালপুর গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা ফরমান আলীর ছেলের স্ত্রী নুরুন্নাহারেন সাথে প্রতিবেশি লুৎফর রহমানের স্ত্রী শামিমা বেগমের হাতাহাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিশ বসে। এ সময় উভয় পক্ষ উত্তেজিত হলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানরা ধারালো চাকু ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে প্রতিপক্ষ ওয়াজেদ আলীর ছেলে ওয়াসিমের বুকে আঘাত করে। পরে ওয়াসিমকে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত আবাসিক মেডিকেল অফিসার শাহরিয়ার পারভেজ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এঘটনায় ওয়াসিমের চাচা দৌলাতের ২ ছেলে দবিরুল (৩৫) ও দেলোয়ার (৩০) গুরুতর আহত হয়। তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা ফরমান আলীর ছেলে ফসিউর রহমান, ফজলার রহমান, ফরহাদ হোসেন, সেলিম মিয়া, খোকন মিয়ারাও উক্ত ঘটনায় আহত হলে চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্স যোগে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পথে খাঁনপুর বাজারে গ্রামবাসী উত্তেজিত হয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি ভাংচুর করে তাদের বিরামপুর থানা পুলিশে সোপর্দ করে।

গ্রামবাসীকে নিয়ন্ত্রনে আনতে বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সুব্রত কুমার সরকার সার্কেল এএসপি মনজুরুল ইসলাম সহ পার্শ্ববর্তী থানা নবাবগঞ্জ,ফুলবাড়ী ও বিজিবি বিশেষ ক্যাম্পে খবর দেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এএসপি মনজুরুল ইসলাম,নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাওহীদ ,ফুলবাড়ী থানার পুলিশ ফোর্স ও বিরামপুর বিজিবি বিশেষ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

পরে এ ঘটনায় আব্দুল ওয়াজেদ আলী বাদী হয়ে ফরমান আলীর ছেলে, নাতনী ও প্রতিবেশি হোসেন আলীর ছেলে ইসলাম হোসেনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
খাঁনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চিত্ত রঞ্জন পাহান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং নিহত ও আহতদের চিকিৎসার খবর নেওয়ার জন্য বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হন।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন