বুধবার, ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

ক্ষেতলালে প্রথমবারের মতো চীনা বাদাম চাষে ঝুঁকছে কৃষকরা

ক্ষেতলালে প্রথমবারের মতো চীনা বাদাম চাষে ঝুঁকছে কৃষকরা
জয়পুরহাট :: চীনা বাদাম যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি পাতাও বেশ সুদর্শন। পাতার গড়ন অনেকটা আলুপাতার মতোই। এ বাদাম মাটির নিচে জন্মে। চীনা বাদামের অ্যান্টি-অক্সিজেন শরীরে কঠিন রোগকে বাসা বাধতে বাঁধা প্রদান করে। চীনা বাদাম দেশের বিভিন্ন এলাকায় চাষাবাদ হয়। তবে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার কৃষকরা দুই একরের অধিক জমিতে প্রথম বার চাষ করছে চীনা বাদামের। ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুর  রশিদ (৫০) গত বছর জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে পরীক্ষামূলক মাত্র ছয় শতাংশ জমিতে চীনা বাদামের বীজ রোপণ করে ভাল ফলন পান। বাদাম চাষে তার সফলতা দেখে একই গ্রামের বেশ কয়েকজন কৃষক  চলতি বছরে বাদাম চাষ শুরু করেছেন। দেউলিয়া গ্রামের  হয়দার আলী, হারেজ উদ্দিন, মাহমুদুল, হাফিজুল, আবু তাহের, বাহার উদ্দিন, আব্দুস সোবহান, জাহিদুল, বাবলু ও আবু কাশেম সহ গ্রামের ২৫-৩০ জন কৃষক চলতি বছরে প্রায় ৬-৭ বিঘা জমিতে চীনা বাদাম চাষ করছেন৷
চীনা বাদাম চাষী আব্দুর রশিদ বলেন, নতুন ফসল চাষ করা আমার শখ। এ বছর আমি পঁচাত্তর কেজি চীনা বাদামের বীজ আমার এক আত্মীয়’র বাড়ী থেকে এনে গ্রামের পঁচিশ থেকে ত্রিশ জন কৃষককে দিয়েছি। তারা সকলেই এবছর চীনা বাদাম চাষ শুরু করেছে। আমি ১৬ শতাংশ জমিতে চীনা বাদাম চাষ করেছি। বাদাম চাষে খরচ খুবই সীমিত। এ বছর তেমন কোন রোগ বালাইও হয়নি। ভালো ফলনের সম্ভাবনা সহ বাজারে বাদামের দামও ভালো রয়েছে। আশা করা যায় আমরা লাভবান হবো। আগামীতে যদি সরকারিভাবে সহযোগিতা বা প্রণোদনা পাই তাহলে বড় পরিসরে এলাকার কৃষকরা চীনা বাদাম চাষে উদ্বুদ্ধ হবে। ওই গ্রামের আরেক কৃষক হায়দার আলী (৩৮) জানান, আব্দুর রশিদকে বাদাম চাষে সফলতায় আমরা অবাক হয়েছিলাম। পরে তার কাছ থেকে চীনা বাদামের বীজ সংগ্রহ করে চাষাবাদ করছি। বাদামের গাছ খুব সুন্দর হয়েছে। ভালো ফলন ও দাম পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়। দেউলিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল গফুর জানান, বাজারে চীনা বাদামের অনেক চাহিদা আছে। অল্প খরচে বাদাম চাষে লাভ বেশি। জমি দেখে অনেক কৃষক আগামীতে বীজ নিয়ে চাষাবাদের আগ্রহ প্রকাশ করছে। এ বিষয়ে ক্ষেতলাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান জানান, সাধারণত বেলে মাটিতে বাদাম চাষ ভাল হয়। তবে নদী এলাকা বা যেসব এলাকার মাটিতে বালির পরিমান বেশি সেসব এলাকাগুলোতে চাষ করা যায়। ক্ষেতলালে এরআগে কেউ বাদাম চাষ করেছে বলে আমার জানা নেই। তবে কৃষক আব্দুর রশিদের মতো অন্যান্য যারা বাদাম চাষে আগ্রহী তাঁদের কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সেই সাথে তাঁদের এব্যাপারে উৎসাহিত করতে প্রণোদনার ব্যবস্থাও করা হবে।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন