বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

পাঁচবিবিতে নিলাম বাতিল ও সম্পত্তি ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন

পাঁচবিবিতে নিলাম বাতিল ও সম্পত্তি ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন
 পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: পাঁচবিবিতে ন্যাশনাল ব্যাংকের ঋন খেলাপীর দায়ে নিয়ম বহির্ভুত ভাবে হওয়া নিলাম বাতিল ও সম্পত্তি ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
আজ (২৫ জুন) মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের ভীমপুর বাসট্যান্ড এলাকায় ২৪ জন ভুক্তভোগীর পক্ষে মোঃ হাবিবুর রহমান এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের ভীমপুর মৌজার সাবেক ১২৫ হাল ১৪১ খতিয়ানের ৮৭/১৩৭, ৮৭/১৩৯,  ৮২/১৮৭ ও১৪২/১৯০  সাবেক ও হাল দাগের ১.১৩ একর রেকর্ডিয় সম্পত্তির মালিক উপজেলার আটাপাড়া গ্রামের নজির উল্যাহর পুত্র মোঃ ইছার উদ্দিন।  তিনি গত ১৪ অক্টোবর ১৯৯৫ সালে  ১২২৪৭ নং দলিল মুলে  উক্ত  জমি উপজেলার ভীমপুর গ্রামের তসলিম উদ্দিন মন্ডলের পুত্র জসিম উদ্দিন মন্ডলের নিকট হস্তান্তর  করেন। জসিম উদ্দিন উক্ত জমি গত ৩ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৯ তারিখে উপজেলা ভূমি অফিস থেকে ২৩৬ (৯-১) ৯৮-৯৯ নং খারিজ  ও  ৫০৩ নং হোল্ডিং চালু করেন। পরবর্তীতে  আমরা ২৪ জন ব্যক্তি বিভিন্ন সময়ে ২২ টি দলিল মুলে তার নিকট থেকে উক্ত  ১.১৩ একর সম্পত্তি ক্রয় করি এবং বাড়ি ঘর নির্মান করিয়া অদ্যবধি  ভোগ দখল করে আসছি। কিন্তু পরে আমাদের অজান্তে  ইছার উদ্দিনের উক্ত সম্পত্তি জসিম উদ্দিনের দলিলের ২ মাস পর গত ২৭ ডিসেম্বর ১৯৯৫ তারিখে  ইছার উদ্দিনের পুত্র আঃ রউফ পিতাকে দাতা সাজিয়ে ৮২৫৭ নং এ একটি জাল দলিল তৈরি করে  একই জমি ১৬ জুন ১৯৯৭ সালে ৩৮৮২ নং দলিল মুলে আবুল কাশেম বরাবরে বিনিময় করেন। আবুল কাশেমের মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশগন পাঁচবিবি সহকারী  জজ আদালত, জয়পুরহাটে জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে  একটি অন্য মামলা ( যার নং ৭১/২০০১)  করে। বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে তা খারিজ করে গত ৩০ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে  জসিম উদ্দিনের পক্ষে রায় দেন। কিন্তু উক্ত মামলা চলাকালীন সময়ে  আবুল কাশের ওয়ারিশগণ ১২ জুলাই ২০০৬ সালে  ৩৮৯৮, ৩৮৯৯ দলিল মুলে জনৈক রাজ কুমার খেতানের নিকট সম্পত্তিটি  বিক্রি করেন। যা নিয়মবহির্ভূত ।  রাজ কুমার খেতান  এই সম্পত্তি ন্যাশনাল ব্যাংক বড়গোলা,  বগুড়া শাখায়  বন্ধক ( নং ১১২৮ তাং ০৮/৭/২০০৭)  রেখে ঋন গ্রহন করেন। সেখানে তিনি ঋন খেলাপি হলে উক্ত সম্পত্তি নিলাম হয়ে যায়।
ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান প্রশ্ন রাখেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের মত এমন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান কিভাবে সঠিক তদন্ত না করে ঋন প্রদান করেছে ? যার কারনে আমরা ভোগান্তি পোহাচ্ছি ।বর্তমানে  নিলাম গ্রহনকারীরা আমাদের বাড়ি ঘর ভেঙে ফেলেছে ও সেখান থেকে উচ্ছেদ করার জন্য বিভিন্ন হুমকি প্রদান করছে । এ কারনে আমরা গত ২৪ মার্চ ২০২৪ তারিখে হাইকোর্টে একটি সিভিল মামলা ( নং ১০০৬ ) দায়ের করেছি । তারপরও তাদের অব্যাহত হুমকির কারণে বর্তমানে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছি । আমরা নিয়ম বহির্ভূত হওয়া নিলাম বাতিল করে জমির অধিকার ফিরে পেতে  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নিকট আকুল আবেদন করছি ।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন