আদমদীঘিতে জমজমাট ঈদ কেনাকাটা
এএফএম মমতাজুর রহমান, আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : ঈদ মানেই আনন্দ,ঈদ মানেই খুশি,ঈদে চাই নতুন জামা কাপড়-নতুন পাঞ্জাবি, সার্ট প্যান্ট, শাড়ি, গহনা ও কসমেটিকস প্রসাধনি। তাইতো ক্রেতা সমাগমে মুখর বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা বাজার ও সান্তাহার পৌরসভার বিভিন্ন বিপণিবিতান। করোনাভাইরাসের ধকল কিছুটা কাটিয়ে দুই বছর পর এবারেই ঈদের কেনাকাটায় স্বাভাবিকতা ফিরে এসেছে।
সান্তাহারের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে মধ্যরাতরাত অবধি মার্কেটের দোকান গুলোতে কেনাকাটা চলছে। সোনার বাংলা মার্কেট থেকে শুরু করে আয়েজ প্লাজা, কক্সবাজার মার্কেট, আজমেরী মার্কেট, উপহার মার্কেট ও খন্দকার মার্কেটসহ রেলওয়ে মার্কেটে কেনাকাটার ব্যস্ত চিত্র দেখা গেছে। এমনকি যারা দিনের বেলা মানুষের ভিড় এড়িয়ে নিরিবিলিতে কেনাকাটা করতে চান, তারাই ইফতারির পর ভিড় করছেন মার্কেটগুলোতে।
আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, এসব জায়গায় পোশাকে নতুনত্বের সঙ্গে দামের তারতম্য রয়েছে। প্রতিটি পোশাকেরই দাম কিছুটা বেড়েছে। এবারের ঈদ আয়োজনে রয়েছে- শিশুদের শার্ট, ফতুয়া, শর্ট স্লিভ, ফুল স্লিভ, লং প্যান্ট, কোয়ার্টার প্যান্ট ও বিভিন্ন রংয়ের পাঞ্জাবি। এছাড়া মেয়ে শিশুদের জন্য রয়েছে- ফ্রক, পার্টি ফ্রক, ফ্যাশন টপস, থ্রি পিস, জাম্প স্যুট, নীমা সেট, টপ বটম সেট, লং ও শর্ট স্লিভ শার্ট, পলো টি-শার্ট ও কার্গো। এসব পোশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে।
পুরুষের জন্য রয়েছে- হালকা ও টেকসই ফেব্রিকের তৈরি বিভিন্ন রংয়ের পাঞ্জাবি কালেকশন, শার্ট, টি-শার্ট, ইজি কেয়ার শার্ট, পাজামা, ডেনিম প্যান্টস, কাইতেকি প্যান্টস, জিন্স ও গ্যাবাডিং।
আর মেয়েদের জন্য রয়েছে- থ্রি পিস, টু পিস, ফোর পিস,কাজ করা জর্জেট কামিজ, ভিসকস কামিজ, বিভিন্ন রংয়ের প্রিন্ট লং শার্ট, টপস, টিউনিকস, কামিজের জন্য রয়েছে এমব্রয়ডারি স্ক্যান্টস, পালাজ্জো ও লেগিংস। এসব পোশাক পাওয়া যাচ্ছে ৪৫০ থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যে। এছাড়া মেয়েদের নানা কালেকশনের বোরকা পাওয়া যাচ্ছে ৬৫০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে। তবে মার্কেটভেদে দামে তারতম্য রয়েছে।
স্টাইল জোনের সত্ত্বাধিকারী মাজেদ বলেন, আমরা ক্রেতাদের কথা বিবেচনায় রেখে এবারের ঈদে বাহারি ও নান্দনিক ডিজাইনের পোশাক এনেছি। বিশেষ করে পাঞ্জাবিতে আমাদের হিউজ কালেকশন। আর দাম রিজেনেবল। যারা স্টাইল জোন থেকে কিনেন তারা জানেন, সাধ্যের মধ্যে তারা ক্রেতাদের বাহারি ডিজাইনের পোশাকের চাহিদা মেঠায়।
সিয়াম ফ্যাশন জোনের স্বত্বাধিকারী মেমী বলেন, এবার প্রচন্ড গরম থাকায় ক্রেতারা সুতি ও আরামদায়ক পোশাক বেশি কিনছেন। জাঁকজমক পোশাক অনেকেই পরিহার করছেন। আর কেনাকাটায় বাড়ির ছোট্ট সোনামণিদের আগে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন ক্রেতারা। সোনামণিদের কথা মাথায় রেখে তাদের জন্য হিউজ ক্যলেকশন রেখেছি। সান্তাহারের আয়েজ প্লাজা ঘুরে দেখা যায়, এখানকার দোকান গুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।
কাপড় বিক্রেতা মেহেদী হাসান বলেন ক্রেতাদের চাহিদা মাথায় রেখেই এবারের ঈদ কালেকশন সাজানো হয়েছে। গরমের বিষয়টি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
সোনার বাংলা মার্কেটে শপিং করতে আসা কানিজ ফাতেমা এবং রিপন বলেন, ঈদে পরিবারের সকলের জন্য শপিং করতে হয়। সান্তাহারের মার্কেট গুলোতে একটু ভালো মানের কাপড় পাওয়া যায় তাই এখানে কেনাকাটা করতে আসা হয়। তবে গতবারের তুলনায় এবার বিভিন্ন পোষাকের দাম আনেক বেশী।