ইরাকে পিকেকের ঘাঁটিতে তুরস্কের বিমান হামলা
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবনের কাছে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা পর ইরাকের উত্তরাঞ্চলে কুর্দি বিদ্রোহীদের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে তুরস্ক। তুর্কি সরকারের দাবি, ২০টি লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করা হয়েছে ও নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে নিরস্ত্র করা হয়েছে।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, রোববার (১ সেপ্টেম্বর) পিকেকের ব্যবহৃত গুহা, ডিপো ও বাঙ্কার লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় তুর্কি বাহিনী। ইরাকের গারা, হাকুর্ক, মেটিনা ও কানদিলে থাকা পিকেকের ঘাঁটিগুলো ছিল হামলার মূল লক্ষ্যবস্তু।
রোববার তুরস্কের পার্লামেন্ট ভবনের কাছে থাকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে একজন হামলাকারী গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে আত্মঘাতী হামলা চালায়। বিস্ফোরণে নিহত হন ওই হামলাকারী। এর পরে দ্বিতীয় হামলাকারী মন্ত্রণালয়ের গেটে নিরাপত্তরক্ষীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করে।
এ সময় দুই কর্মকর্তা আহত হন। একজনের বুকে গুলি লাগে এবং আরেকজনের চোখে ও দুই পায়ে আঘাত লাগে। এ ঘটনায় আহত হন আরও দুই পুলিশ সদস্য। হামলার পর আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
পরে এ হামলার দায় স্বীকার করে তুরস্কের নিষিদ্ধ ঘোষিত গোষ্ঠী পিকেকে। তাদের দাবি, হামলাটি তাদের সঙ্গে যুক্ত একটি গ্রুপ করেছে। কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি বা পিকেকে তুরস্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচিত হয়।
গ্রীষ্মকালীন বিরতির পর তুর্কি পার্লামেন্টের অধিবেশনের কয়েক ঘণ্টা আগে এই বিস্ফোরণ ঘটে। পার্লামেন্টের উদ্বোধনী ভাষণে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এ হামলাকে সন্ত্রাসবাদের চূড়ান্ত উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তব্যে এরদোয়ান বলেন, হামলার পরই পরই দুই সন্ত্রাসীকে পরাস্ত করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি পুলিশকে ধন্যবাদ। সন্ত্রাসীরা আমাদের নাগরিকদের শান্তি ও নিরাপত্তা ধ্বংস করতে চায়। কিন্তু তারা এ লক্ষ্যে সফল হতে পারবে না।