আমরা নিউক্লিয়ার যুগে প্রবেশ করেছি: প্রধানমন্ত্রী
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণের জন্য আজ অত্যন্ত গর্বের দিন এবং আনন্দের দিন। আমরা নিউক্লিয়ার যুগে প্রবেশ করেছি।
তিনি বলেন, আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে দেশ। যেটি গড়ার পথে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে একটি বড় পদক্ষেপ। আজ থেকে বাংলাদেশ পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দেশের কাতারে সামিল হলো এবং বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী নিউক্লিয়ার ক্লাবের কার্যকর সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হলো।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি ‘ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়াম আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার সম্পূর্ণ নির্মূল এবং পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ পদক্ষেপ বাস্তবায়নের প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি। পারমাণবিক শক্তি আমরা শান্তিরক্ষায় ব্যবহার করব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আমরা পরমাণবিক শক্তি নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করেছি। একটি স্বাধীন পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষও প্রতিষ্ঠা করেছি। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃপক্ষ আইএইএ’র (আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি এজেন্সি) সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতিটি স্তরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।
প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ২০১৩ সালে প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছি। আপনার সহযোগিতায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ, পরীক্ষিত, রাশান ফেডারেশন এবং প্রেসিডেন্ট এখানে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশকে সম্মানিত করেছেন। অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত হয়েছেন তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশের জনগণের জন্য অত্যন্ত গর্বের দিন। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রচেষ্টায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সফলতার মুখ দেখছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বন্ধুপ্রতিম দেশ রাশিয়ার সহযোগিতায় আমরা সেই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করেছি।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করি তখন সবার জন্য বিদ্যুৎ দেব— এ প্রতিশ্রুতি নিয়ে আমি কাজ শুরু করি। জ্বালানিতে পারমাণবিক বিদ্যুৎ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করি। যদিও সেসময় কাজগুলো শেষ করতে পারিনি। ২০০৮ সালে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করেই এই প্রকল্পটা আমরা হাতে নিই।