শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

বিচারকের সই জাল: ২ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৮ নভেম্বর

বিচারকের সই জাল: ২ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৮ নভেম্বর

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : বিচারকের স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগে আদালতে কর্মরত দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলায় আসামিরা হলেন— আদালতের মোটরযান শাখার ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক ফুয়াদ উদ্দিন এবং কনস্টেবল আবু মুছা। রোববার (১২ নভেম্বর) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এ দিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারহা দিবা ছন্দা প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন। আদালতে কোতোয়ালি থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আশ্রাব আলী এ তথ্য জানান। এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১০ এর বেঞ্চ সহকারী ইমরান হোসেন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন। পরদিন ২৬ সেপ্টেম্বর মামলার এজাহার আদালতে আসে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারাহা দিবা ছন্দার আদালত তা গ্রহণ করেন। কোতোয়ালি থানার সাব-ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলামকে মামলাটি তদন্ত আগামী ২৬ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী ১০ নম্বর আদালতের পাশাপাশি মোটরযান সম্পর্কিত মামলা পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত। গত ২৪ সেপ্টেম্বর আড়াইটার দিকে মোটরযান শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ এসআই ফুয়াদ উদ্দিন অন্যান্য নথির সাথে নন এফআইআরের দুটি  মামলা বিচারকের কাছে উপস্থাপন করেন। কিন্তু আসামি না থাকায় বিচারক কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। পরবর্তীতে বিচারক জানতে পারেন, মামলা দুটির জব্দকৃত আলামত মোটরযান শাখার ইনচার্জ ফুয়াদ উদ্দিন ও কনস্টেবল আবু মুছা তাদের অন্যান্য সহযোগীদের যোগসাজশে বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে পরোয়ানা ফেরত কাগজে ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষরের জায়গায় নিজেরা স্বাক্ষর প্রদান করে আসামিদের দিয়ে দেয়। যার ফটোকপি নথিতে সংযুক্ত। তাছাড়া এ মামলার নথিতে বিচারকের কোনো স্বাক্ষর নাই এবং কোনো জরিমানা করেন নাই। বিচারক ইতিমধ্যে অবগত হয়েছেন, মোটরযান শাখার ইনচার্জ এসআই ফুয়াদ উদ্দিন ও জিআরও আবু মুছা তাদের অন্যান্য সহযোগীদের যোগসাজশে দীর্ঘ দিন ধরে বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে একই ধরনের অপরাধ করে আসছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন