২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হয়েছে যেসব অ্যাপ
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীরা প্রতিদিনই নিত্যনতুন অ্যাপের সাথে পরিচয় হচ্ছে। গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোরের নিঃশ্বাস নেয়ার সময় নেই এক দণ্ড। প্রতিমুহূর্তে বিশ্বের কোথাও না কোথাও ডাউনলোড করা হচ্ছে কোনো না কোনো অ্যাপ।২০২৩ সালে যে অ্যাপ সবচেয়ে বেশি ডিলিট হয়েছে অ্যাপ আসল নাকি নকল যাচাইয়ের সহজ উপায় টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, সিগন্যাল – কোন অ্যাপ সবচেয়ে নিরাপদ পরিসংখ্যান বলছে, এই তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে গুগল। অ্যাপ ডাউনলোডের পরিসংখ্যানই যেন তা পরিষ্কার করে দিয়েছে। তার ঠিক পরের অবস্থানে রয়েছে ইনস্টাগ্রাম। অ্যানালিস্ট প্ল্যাটফর্ম অ্যাপ অ্যানির রিপোর্ট অনুযায়ী, গুগল অ্যাপটি এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৪৯ মিলিয়ন বার ডাউনলোড করা হয়েছে। যার মধ্যে কেবল ২০২৩ সালেই অ্যাপটি ৪০ মিলিয়ন সংখ্যক বার ডাউনলোড হয়েছে।
চলুন জেনে নেয়া যাক ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড করা অ্যাপের তালিকা
গুগল-মোট ডাউনলোড ৪৪৯ মিলিয়ন। (২০২৩ সালেই ৪০ মিলিয়ন ডাউনলোড)
ইনস্টাগ্রাম –মোট ডাউনলোড ৩৬৪ মিলিয়ন। (২০২৩ সালেই ৩০ মিলিয়ন ডাউনলোড)
রিলায়েন্স জিও-মোট ডাউনলোড ২৬৬ মিলিয়ন। (২০২৩ সালেই ১৮ মিলিয়ন ডাউনলোড)
ফ্লিপকার্ট-মোট ডাউনলোড ২২০ মিলিয়ন। (২০২৩ সালেই ২৮ মিলিয়ন ডাউনলোড)
হোয়াটসঅ্যাপ –মোট ডাউনলোড ২১০ মিলিয়ন। (২০২৩ সালেই ২০ মিলিয়ন ডাউনলোড)
মেটা-মোট ডাউনলোড ২০৭ মিলিয়ন। (২০২৩ সালেই ২১ মিলিয়ন ডাউনলোড)
সবচেয়ে পছন্দের অ্যাপ
জনপ্রিয়তা বা সর্বাধিক ডাউনলোডের তালিকায় যদি হিসেব করা হয়, তাহলে অবশ্যই আলাদা করে ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকের জনপ্রিয়তা সকলের নজর কেড়েছে। কিন্তু যদি এই তিন প্ল্যাটফর্মকেই একত্রিত করা হয়, তাহলে তো মেটার ধারেকাছে আর কোনও প্ল্যাটফর্মই নেই। গত বছরে ৭০ মিলিয়ন বার ডাউনলোড হয়েছে মেটা। এই রেকর্ড পরিমাণ ডাউনলোডের সংখ্যা প্ল্যাটফর্মটিকে নিয়ে গিয়েছে সর্বমোট ৭৮২ মিলিয়ন বার ডাউনলোডে। এদিকে আবার গুগলের মূল সংস্থা আলফাবেট এইএনসির ডাউনলোডও ৫২৭ মিলিয়নে পৌঁছে গেছে।
ফ্লিপকার্টের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় মিশো
ই-কমার্স সেক্টরে ফ্লিপকার্টকে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা দিচ্ছে মিশো। আপ সংস্থাটি ছোট শহরগুলোর চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। ২০২৩ সালের শেষে ৩৫.৮ মিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারী নিয়ে মিশো সহজেই শস্য থেকে এগিয়ে গিয়েছিল। যার ১১ মিলিয়নেরও বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিল। সক্রিয় ব্যবহারকারীর পরিপ্রেক্ষিতে ই-কমার্স প্রযুক্তি সংস্থা অ্যামাজন এবং ফ্লিপকার্টের মধ্যে প্রতিযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। বছরের শেষে ফ্লিপকার্টের ৮২.১ মিলিয়নের তুলনায় অ্যামাজনের ৭৬ মিলিয়নেরও বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিল।