ডা. সাব্বির-মাহজাবিকে আটকের দাবি আয়ানের স্বজনদের

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক :  ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খৎনা করাতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. সাঈদ সাব্বির ও ডা. তাসনুভা মাহজাবিনের আটকসহ ৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গেটে মানববন্ধন করছে শিশুটির পরিবার ও স্বজনরা। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় রাজধানীর মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। শিশু আয়ানের দাদা জসিমউদদীন বলেন, চিকিৎসার নামে আমাদের আয়ানকে হত্যা করেছে ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ। একটা শিশুর সাধারণ একটা খতনা করাতে গিয়ে এই অবস্থা কখনোই হতে পারে না। এখানে তাদের চিকিৎসায় ভুল ছিল, একই সঙ্গে গাফলতি ছিল। আমরা আমাদের নাতিকে হারিয়েছি, কিন্তু যাদের কারণে আমরা আয়ানকে হারিয়েছি তারা তো বিচারের আওতার বাইরে থাকতে পারে না। আমরা অবিলম্বে অভিযুক্ত দুই চিকিৎসকের আটক চাই। আয়ানের মৃত্যু : ইউনাইটেডের দুই চিকিৎসক ও পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা সুন্নতে খৎনা করাতে এসে জীবন-সংকটে শিশু আয়ান নিহত আয়ানের পরিবার বলেন, শিশু আয়ন হত্যার মতো এসব ঘটনা এখন আমাদের দেশে নিত্য দিনের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছু ব্যবসায়ী ডাক্তার এবং কর্তৃপক্ষের কারণে দিন দিন অনেক পরিবার তাদের স্বজন হারাচ্ছে। এমনকি এসব ঘটনায় স্বজনরা সুষ্ঠু বিচারও পাচ্ছেন না, ফলে এসব ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা সরকারে কাছে এর সুষ্ঠু এবং ন্যায় বিচারের দাবি করি, যাতে এমন ঘটনা আর কোনো ডাক্তার বা কর্তৃপক্ষ করতে সাহস না পায়।

আয়ানের স্বজনদের দাবি সমূহ-

১। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ডাক্তার মাহজাবিন এবং অ্যানেস্থেসিয়া ডাক্তার ছাব্বির এর আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করি।

২। এই ধরনে হাসপাতালের মাধ্যমে যাতে আর কোনো মা-বাবার কোল খালি না হয় তাই অত্র হাসপাতাল বন্ধ ঘোষণা দেওয়া হোক।

৩। ভবিষ্যতে যেন ভুল চিকিৎসার মাধ্যমে আর কোনো পরিবারের আপনজন না হারাতে হয় সে জন্য প্রত্যেক হাসপাতালে মানসম্মত ডাক্তারের সু-ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

৪। চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ব্যবসা হিসাবে না দেখে মানবতার দিক বিবেচনা করে ডাক্তার ও হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

৫। ডাক্তাররা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যেন প্রভাব বিস্তার করে আমাদের মত ভুক্তভোগী পরিবারের সুষ্ঠু বিচার ভিন্নদিকে প্রবাহিত করতে না পারে, সে দিকে সবার সাহায্য কামনা করছি।

৬। সরকারের প্রতি আমার আরো আকুল আবেদন, চিকিৎসা ব্যবস্থার সার্বক্ষণিক মনিটরিং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সু-চিকিৎসা ও চিকিৎসকের মান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা।