ফাইটারে হৃতিকের এইট প্যাক বডি, তাজ্জব নেটিজেনরা
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : ৫০ বছর বছরেও এমন সুদর্শন চেহারা আর সুঠাম দেহ ধরে রাখা অসম্ভবের কাছাকাছিই। স্বাস্থ্য সচেতনদের পক্ষেও এটি যেন বড় এক চ্যালেঞ্জের নাম। কিন্তু সেটিই সম্ভব করেছেন বলিউডের ‘হ্যান্ডসাম হাঙ্ক’ হৃতিক রোশন। পঞ্চাশের গণ্ডি পার করলেও শরীর দেখে বোঝার উপায় নেই। সম্প্রতি ফাইটার ছবির সিনে তার বডি দেখে তাজ্জব বনে গেছেন। ছবিতে দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে তার কেমিস্ট্রি দেখে উত্তেজিত ভক্তরা। কদিন আগেই পঞ্চাশে পা দিয়েছেন হৃতিক। ফিটনেসের সঙ্গে কখনও আপস করেন না অভিনেতা। তার অ্যাবস দেখে আজও ঘুম উড়ে যায় কোটি তরুণীর। ৫০ বছরেও এমন সুদর্শন চেহারা ধরে রাখা নিঃসন্দেহে কুর্নিশযোগ্য। তবে কষ্ট করলে তবেই কেষ্ট মেলে! হৃতিকের এই সুদর্শন চেহারার পিছনের রহস্যের উপর থেকে পর্দা উঠল। তার ওয়ার্কআউট রুটিন থেকে ডায়েট ফাঁস করলেন ট্রেনার ক্রিক গেথিন। ফাইটারের জন্য এইট প্যাক অ্যাবস তৈরি করেছেন হৃতিক। ছবির চরিত্রের জন্য লুক নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে ভালোবাসেন তিনি। মাত্র পাঁচ সপ্তাহ সময় নিয়ে ফাইটারের প্রস্তুতি সেরেছিলেন। এত কম সময়ে শরীরে আমূল পরিবর্তন কীভাবে আনলেন হৃতিক? ক্রিস জানান হৃতিকের কার্ডিও রুটিন রয়েছে দৌড়, উপবৃত্তাকার প্রশিক্ষণ, সাঁতার। এরপর স্টেয়ার মাস্টার রোয়ারে ওয়ার্কআউট করেন হৃতিক। এবার সিনেমার পর্দায় আসছেন মাইকেল জ্যাকসন! এখনও ক্ষণে ক্ষণে সুশান্তের নাম নিচ্ছেন অঙ্কিতা, সাবধান করলেন মা ফিটনেস ধরে রাখতে নিয়মিত বক্সিং, কেটলবেল্ট ওয়ার্কআউট, ব্যাটেল রোপসের মতো ট্রেনিং করেন তিনি। ঘুম নিয়ে ভীষণ সচেতন হৃতিক। রাত ৯টার মধ্যে শুয়ে পড়েন হৃতিক। যা ভারতীয়দের জন্য বেশ কষ্টসাধ্য। দিনে ছয় থেকে সাতবার খান হৃতিক। প্রত্যেকবার নির্দিষ্ট একটি খাবারই খান তিনি। তালিকায় থাকে মুরগির মাংস, ডিমের সাদা অংশ, মাছ, হোয়ে প্রোটিন। স্বাস্থ্য ধরে রাখতে স্বাদহীন খাবারই ভরসা তার। হৃতিকের ব্যক্তিগত শেফ শুভম বিশ্বকর্মা। নায়কের রান্নার দায়িত্ব তার হাতেই থাকে। চিকেন ব্রেস্ট এবং ডিমের সাদা অংশ দিয়ে বার্গার তৈরি করেন শুভম। পাউরুটির জায়গা নেয় ডিমের সাদা অংশটি, ভিতরে থাকে চিকেন। স্বাদহীন খাবারেও একটু টুইস্ট দিতে শুভমের নতুন নতুন আবিষ্কারই ভরসা হৃতিকের। মূলত নতুন ছবিতে নিজেকে ভিন্নভাবে জানান দিতেই হৃতিকের এতো সাধনা। ফাইটারে প্রথমবার দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে জুটিতে তিনি। হৃতিক রোশন এবং দীপিকা পাড়ুকোনকে এই ছবিতে বিমান সেনার ইউনিফর্মে দেখা যাবে। স্কোয়াড্রন লিডার শামশের পাঠানিয়া ও স্কোয়াড্রন লিডার মিনাল রাঠোর হয়ে রুপোলি পর্দায় ধরা দেবেন তারা। সিদ্ধার্থ আনন্দের সঙ্গে এই ছবির চিত্রনাট্য লিখছেন প্রাক্তন সেনা অফিসার রমন চিব। আগামী ২৫শে জানুয়ারি মুক্তি পাবে ‘ফাইটার’।