মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

কোরআন তিলাওয়াতের উদ্দেশ্যে করা অজুতে নামাজ হবে?

কোরআন তিলাওয়াতের উদ্দেশ্যে করা অজুতে নামাজ হবে?

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : কোরআন তিলাওয়াতের অনেক ফজিলত রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা কোরআন তিলাওয়াতকে মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য বলে অভিহিত করেছেন একইসঙ্গে অন্তরের প্রশান্তি লাভের মাধ্যম বলা হয়েছে কোরআন তিলাওয়াতকে। বর্ণিত হয়েছে, ‘যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর জিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখ, আল্লাহর জিকির দ্বারাই অন্তর সমূহ শান্তি পায়।’ (সূরা রাদ, আয়াত, ২৮) কোরআন তিলাওয়াত ফজিলত লাভের মাধ্যম। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর কিতাব থেকে একটি অক্ষর তেলাওয়াত করল তার বিনিময়ে সে একটি নেকী পাবে, আর একটি নেকীর বদলা হবে দশগুণ, একথা বলছি না যে, আলিফ-লাম-মীম, একটি অক্ষর বরং আলিফ একটি অক্ষর, লাম একটি অক্ষর, মীম একটি অক্ষর।’ (তিরমিজি, হাদিস, ২৯১০) বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াতকারীকে হাদিসে আল্লাহ তায়ালার পরিজন বলা হয়েছে। হজরত আনাস বিন মালিক রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কিছু মানুষ আল্লাহর পরিজন। সাহাবিরা জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসূল, তারা কারা? তিনি বলেন, কোরআন তেলাওয়াতকারীরা আল্লাহর পরিজন এবং তার বিশেষ বান্দা।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস, ২১৫) কোরআন স্পর্শ করে তিলাওয়াত করার জন্য অজু জরুরি। কেননা, কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘কোরআন স্পর্শ করবে পবিত্র অবস্থায়।’ আর কোরআন তিলাওয়াতের জন্য যেই অজু করা হয় এতে অন্য যেকোনো ইবাদত এবং নামাজ আদায় করা যাবে।  কোনো কোনো মানুষকে বলতে শোনা যায়- কোরআন তিলাওয়াতের জন্য অজু করলে সে অযু দিয়ে নামাজ পড়া যাবে না! এটি একটি ভুল ধারণা এবং ভুল মাসয়ালা। কোরআন তিলাওয়াতের জন্য অজু করলে সে অজু দিয়ে নামাজ পড়তে কোনো বাধা নেই। এমনকি যেকোনো নিয়তে কিংবা কোনো আমলের নিয়ত ছাড়া অজু করলেও সে অজু দিয়ে নামাজ আদায় করা যাবে। তবে অজু করার সময় নিয়ত করা সুন্নত।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,

يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُوا بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ

‘হে মুমিনগণ, যখন তোমরা সালাতে দন্ডায়মান হতে চাও, তখন তোমাদের মুখ ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত কর, মাথা মাসেহ কর এবং টাখনু পর্যন্ত পা (ধৌত কর)।’ (সূরা মায়েদা, আয়াত, ৬)

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন