ধর্মপাশায় ইজিবাইক চালক হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় দুই ইজিবাইক চালক হুমায়ূন কবির ও সাইকুল ইসলাম হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৭ আসামিকে গ্রেপ্তার এবং চুরি যাওয়া ইজিবাইক ও ব্যাটারি উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুর আড়াইটায় সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে গ্রেপ্তারকৃতদের নাম ও ঘটনার রহস্য প্রকাশ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) রাজন কুমার দাস। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের দুধবহর গ্রামের রতন মিয়ার ছেলে দেলোয়ার হোসেন দিলু, রফিকুল ইসলামের ছেলে আজিম উদ্দিন, রফিকের ছেলে নুরুল আমীন, ময়না মিয়ার ছেলে রুবেল, আবুল কাসেমের ছেলে জাকিরুল ইসলাম ইমুল, দক্ষিণ নোয়াগাঁও গ্রামের স্বপন মিয়ার ছেলে কাউছার নিয়াশা এবং নেত্রকোনার ঠাকুরাকোনা গ্রামের মৃত গোলম রব্বানীর ছেলে সেলিম মিয়া। ইজিবাইক চালক হুমায়ূন সদর ইউনিয়নের দশধরী গ্রামের কামাল মিয়ার ছেলে ও সাইকুল একই ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের কারি মিয়া খানের ছেলে। গত ১৭ মার্চ হুমায়ূন ও ৮ এপ্রিল সাইকুল তাদের ইজিবাইকসহ নিখোঁজ হয়। পুলিশ জানায়, ১৭ মার্চ সন্ধ্যায় দেলোয়ারের নেতৃত্বে রুবেল হুমায়ূনের ইজিবাইক দিয়ে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে ইজিবাইক ভাড়া করে এবং কান্দাপাড়া এলাকার নিমাইকোনা বিলে ধান ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে দেলোয়ার তার সাথে থাকা গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হুমায়ূনকে হত্যা করে। ৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় রুবেল ও জাকিরুল সাইকুলের ইজিবাইক ভাড়া নিয়ে আতকাপাড়া গ্রাম সংলগ্ন মৎস খামারের কাছে যায়। সেখানে আগে থেকেই দেলোয়ার, নুরুল, কাউছার, নিয়াশা, আজিম অবস্থান করছিল। সাইকুল ঘাতকদের পরিচিত হওয়ায় ইজিবাইকটি সড়কের পাশে রেখে সাইকুলকে সাথে নিয়ে গাঁজা সেবনের উদ্দেশ্যে মৎস খামারের উত্তর পাশে যায়। সেখানে তারা কিছুক্ষণ গাঁজা সেবনের পর রুবেল সুযোগ বুঝে তার কোমরের বেল্ট খুলে দেলোয়ায়ের হাতে দেয়। সে সময় অতর্কিতভাবে দেলোয়ার সাইকুলের গলায় বেল্ট পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে সাইকুলকে হত্যা করে। রুবেল ও জাকিরুল ঠাকুরাকোনার সেলিমের কাছে হুমায়ূনের ইজিবাইক ৩০ হাজার ও সাইকুলের ইজিবাইক ৩৭ হাজার টাকায় বিক্রি করে। গত ১৫ এপ্রিল সাইকুলের মরদেহ ও ২৫ এপ্রিল হুমায়ূনের মাথার খুলিসহ হাড় উদ্ধার করে পুলিশ। সাইকুল হত্যার ঘটনায় গত ২০ এপ্রিল ও হুমায়ূন হত্যার ঘটনায় ২৯ এপ্রিল ধর্মপাশা থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। সত্যতা নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহ্সান শাহ্ বলেন, এ চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সাথে আরও কেউ সম্পৃক্ত আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।