বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

পুরান ঝড়ে লক্ষ্ণৌর সান্ত্বনার জয়

পুরান ঝড়ে লক্ষ্ণৌর সান্ত্বনার জয়

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : আইপিএলে দিনের একমাত্র ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ১৮ রানের জয় পেয়েছে লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস। ভালো সূচনার পরও শেষ ম্যাচে পরাজয়ই সঙ্গী মুম্বাইয়ের। তবে জয় দিয়ে আসর শেষ করেও প্লে-অফে জায়গা হলো না লক্ষ্ণৌর। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে এবারের আইপিএল যাত্রার ইতি টানতে হলো কেএল রাহুলের দলকে। ঘরের মাঠে টসে জিতে আগে লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টসকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় লক্ষ্ণৌ। ইনিংসের প্রথম ওভারে ওপেনার দেবদূত পাড়িক্কাল সাজঘরে ফেরেন গোল্ডেন ডাক মেরে। এরপর তিনে নামা মার্কাস স্টয়নিসকে সাথে নিয়ে এগোতে থাকেন ক্যাপ্টেন লোকেশ রাহুল। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ২২ বলে ২৮ রান করেন স্টয়নিস। পাওয়ারপ্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান তোলে লক্ষ্ণৌ। মাঝে চারে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি দীপক হুদাও। ৯ বলে ১১ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন হুদা। এরপরই ক্রিজে আবির্ভাব হয় নিকোলাস পুরানের। তার দারুণ কাউন্টার অ্যাটাকে দিশা ফিরে পায় লক্ষ্ণৌ। মুম্বাইয়ের বোলারদের একের পর এক বল বাউন্ডারি ছাড়া করে টর্নেডোর গতিতে রান তুলতে থাকেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান এই ব্যাটসম্যান। তুলে নেন অসাধারণ এক ফিফটিও। ২৯ বলে আট ছক্কা আর পাঁচ চারে ৭৫ রানের কার্যকরী এক ইনিংস খেলে দলের ১৭৮ রানের মাথায় থামেন নিকোলাস পুরান।শেষ দিকে ফিফটি ছুঁয়েছেন রাহুলও। ৪১ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় ১৭৮ রানের মাথায় আউট হন তিনি। শেষ দিকে ১০ বলে ২২ রানের ক্যামিও খেলে অপরাজিত ছিলেন আইয়ুশ বাদোনি। এছাড়া ৭ বলে ১২ রানের ইনিংস খেলে টিকে ছিলেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২১৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস।মুম্বাইয়ের হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন নুয়ান থুসারা এবং পিযূষ চাওলা। জবাব দিতে নেমে রোহিত শর্মার ব্যাটে চড়ে ভালো শুরু পায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আরেক প্রান্ত থেকে তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। রোহিতের চরম মারমুখি ব্যাটিংয়ে দ্রুত গতিতে রান উঠতে থাকে মুম্বাইয়ের স্কোরবোর্ডে। লক্ষ্ণৌর বোলারদের তুলোধুনো করে পাওয়ারপ্লের ৬ ওভার থেকে বিনা উইকেটে ৫৩ রান তোলেন মুম্বাইয়ের দুই ওপেনার। তাদের ওই জুটি ভাঙে দলের ৮৮ রানের মাথায়। আউট হওয়ার আগে ২০ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলেন ব্রেভিস। স্কোরবোর্ডে আর মাত্র ১১ রান যোগ হতেই বিদায় নেন রোহিতও। মাঝে তিনে নেমে ডাক মেরে সাজঘরে ফিরেছেন সূর্যকুমার যাদব। রোহিতের সংগ্রহ ছিল ৩৮ বলে ৬৮।রোহিতের বিদায়ের পর কমে আসে মুম্বাইয়ের রানের গতি। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া খেলেছেন ১৩ বলে ১৬ রানের ইনিংস। শেষ দিকে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা চালিয়েছেন নামান ধীর। চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে রান তুলতে থাকেন নামান। অল্প সময়ের মধ্যে ছুঁয়ে ফেলেন ফিফটিও। তবে জয়ের সমীকরণটা আগেই হয়ে গিয়েছিল দুঃসাধ্য। ফলে শেষমেশ সেই জটিল সমীকরণ আর মেলাতে পারেনি মুম্বাই। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৩৪ রান। প্রথম এবং শেষ বলে ছক্কা হাঁকালেও দলকে জেতাতে পারেননি নামান। ১৮ রানে সান্ত্বনার জয় পায় লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস। ২৮ বলে ৬২ রানের চোখ ধাঁধানো এক ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন নামান। লক্ষ্ণৌর হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেন রবি বিষ্ণই এবং নাভিন-উল-হক। এছাড়া ১টি করে উইকেট তোলেন ক্রুনাল পান্ডিয়া এবং মহসিন খান।

sharethis sharing button
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন