২০০ রাঘববোয়াল এখনো অধরা
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ রাজনৈতিক ও আর্থিকভাবে প্রভাবশালী প্রায় দুইশ’ দুর্নীতিবাজকে জালে ঘিরেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে শুরুতে নানা তোড়জোড় থাকলেও কিছুদিন না যেতেই অদৃশ্য কারণে এ তৎপরতায় ভাটার টান ধরেছে। প্রায় তিন মাস হতে চললেও দুদক কর্মকর্তারা দুর্নীতিবাজ এসব রাঘব-বোয়ালদের অনুসন্ধানই শেষ করতে পারেনি। অথচ এরই মধ্যে অনেক দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী-এমপি-আমলা ও রাজনীতিক দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।দুদকের অনুসন্ধান শুরু হওয়া বেশিরভাগ দুর্নীতিবাজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টও প্রায় শূন্য। এরই মধ্যে অনেকেই তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব কিংবা ঘনিষ্টজনদের নামে হস্তান্তর করেছেন। কেউবা বায়না কিংবা সাফ কবলা দলিল মূলে এসব সম্পদ বিক্রি করে দিয়েছেন। মামলা না হওয়ায় এসব দুর্নীতিবাজের অর্থ-সম্পদ আদালত জব্দ করতে পারেনি। অথচ ২০০৭ সালের দুদক বিধিমালার ৭ বিধিতে বলা হয়েছে, ‘নির্দেশ পাওয়ার পর অনুসন্ধান কর্মকর্তাকে ৪৫ দিনের মধ্যে অনুসন্ধান কাজ শেষ করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে অনুসন্ধান কাজ শেষ করতে না পারলে যুক্তিসংগত কারণ উল্লেখ করে অনুসন্ধান কর্মকর্তা আরও ৩০ দিন সময় নিতে পারবেন।’ আর ২০ (খ) অনুযায়ী, তদন্ত কর্মকর্তার অদক্ষতার অভিযোগে কমিশন আইন বা প্রযোজ্য আইনে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে দুদক।
যদিও অনুসন্ধানের টাইম-লাইন সর্বোচ্চ ৭৫ দিনের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ করতে না পারা দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কমিশন কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে তা এখনো শোনা যায়নি।